পার্কে যেতে না পারলে কুকুরের শরীরচর্চা হবে কী করে?
পার্কে হাঁটতে গেলে করোনা টিকার দু’টি ডোজই নিতে হবে। সোমবার এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বাড়ির পোষ্য কুকুরকে পার্কে হাঁটতে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁরা এই সিদ্ধান্তে কতটা স্বস্তিতে?
বিরাটি অঞ্চলের বাসিন্দা প্রবাল সাহা। বাড়িতে গত ৭ বছর ধরে রয়েছে গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির এক সারমেয়। একটু হাঁটাহাঁটি না করালে রিট্রিভার জাতের কুকুরদের শরীরে প্রচুর মেদ জমে যায়। এই ঘটনায় কী বলছেন প্রবাল? ‘‘আমাদের এ দিকে বেশ কয়েকটি মাঠ আছে। তার প্রতিটায় ঢোকার মুখে টিকার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে, এমনটা নয়। বেশি সংখ্যায় মাঠ হওয়ায় কোনওটাতেই খুব বেশি ভিড় হয় না। তাই সামাজিক দূরত্ব নিয়েও অসুবিধা নেই। প্রতিদিনই আমার পোষ্যকে মাঠে নিয়ে যাই। মনে হয় না, এতে মফস্সলের মানুষের খুব একটা অসুবিধা হবে,’’ বলছেন তিনি।
মফস্সলের মানুষের অসুবিধা না হলেও শহরের লোকজন যে খুব একটা স্বস্তিতে নন, তা পরিষ্কার। যেমন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কুকুর-প্রশিক্ষক জানালেন তাঁর আশঙ্কার কথা। ‘‘সব মিলিয়ে ৫টি পরিবারের কুকুরের প্রশিক্ষণ, যত্নআত্তির দায়িত্বে আমি। তাদের মধ্যে ২টিকে সকালে পার্কে হাঁটাতে নিয়ে যাই। ৩টিকে বিকেল-সন্ধ্যায়। সকালের ২টি সল্টলেকে, বিকেলের ৩টি ফুলবাগানে। কী করব বুঝতে পারছি না,’’ দুশ্চিন্তা তাঁর গলায়। টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। কিন্তু দু’টি ডোজ এখনও পাননি এই কুকুর-প্রশিক্ষক।
বড় চেহারার কুকুরদের নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করানো দরকার। যিনি পার্কে হাঁটাতে নিয়ে যাবেন, তিনি টিকার দু’টি ডোজ না পেয়ে থাকলে, এই কাজে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তা বলে কুকুরের শরীরচর্চা বন্ধ করলে চলবে না। এমনই মত পশুচিকিৎসক দেবাশিস দত্তের। তাঁর মতে, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে ছাদে জায়গা থাকলে কুকুরের সঙ্গে খেলা করুন। সকালে আধ ঘণ্টা, বিকেলে আধ ঘণ্টা। ছাদে না হলে খালি ঘর বা বাড়ির সামনে উঠোনে। একটা জায়গা বের করে এই কাজটা করতেই হবে। আর দরকার হলে বাড়ির সামনে রাস্তায় ওকে নিয়ে হাঁটতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাড়ি থেকে বেরোতে হবে। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্বও।’’