গরম পড়লে কী করেন বিলেতের বাসিন্দারা?
গরমের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়নি লন্ডনের!
মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য গরম পড়ে সে দেশে। বাকি সময়টা স্যাঁতসেঁতে। ঠান্ডা। বৃষ্টি। তাই দিন কয়েকের গরমে যেন দিশেহারা অবস্থা হয় সেখানে। হঠাৎ বাইরে বেরোলে গরম হাওয়া গায়ে লাগলে নিজেদের শরীর কী ভাবে ঠান্ডা রাখবেন, তা বুঝে পান না ব্রিটেনের বহু বাসিন্দা। নিজেদের নিয়েই আবার ঠাট্টাও করেন।
সম্প্রতি সে দেশে একটু গরম পড়েছে। রবিবার সেখানকার বাইশ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে আবার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও মন্দ নয়। ঘাম হচ্ছে। যা একেবারেই স্বাভাবিক নয় সে দেশের নাগরিকদের কাছে। ফলে গ্রীষ্মের কয়েকটি তাঁরা কী করবেন, বুঝে পান না। সকলেই প্রায় নতুন কিছু করে দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কি আদৌ কাজ হয়?
১) সাধারণত ভারতীয়দের মতো নানা রকম মশলা দিয়ে রান্না করার চল তেমন নেই সে দেশে। বলা যায়, ইংরেজদের খাবার ঝাল-মশলা প্রায় ব্যবহারই হয় না। কিন্তু এ সময়ে তাঁরা ভারতীয় ঝাল-ঝোল খাওয়ার জন্য রেস্তঁরায় যান বলে প্রকাশিত সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমে। তাতে শরীরের ভিতরের তাপ বাড়ে। ঘাম হয়। সব মিলিয়ে শরীর ঠান্ডা থাকে।
এ সময়ে ঘরে বৈদ্যুতিন সামগ্রী যথা সম্ভব কম ব্যবহার করেন বিলেতের মানুষজন।
২) আর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এ সময়ে ঘরে বৈদ্যুতিন সামগ্রী যথা সম্ভব কম ব্যবহার করেন বিলেতের মানুষজন। যে কোনও বৈদ্যুদিন সরঞ্জামে চার্জ দিতে গেলে আরও তাপ তৈরি হয়। ঘর গরম হয়ে যায়। তাই এমন ভাবনা।
৩) কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যেই কব্জি চেটে নেন। শুনেই অবাক হচ্ছেন তো? কিন্তু এ কাজ বহু প্রাণীই করে থাকে গ্রীষ্মকালে। এতে সত্যিই শরীর ঠান্ডা হয়। কব্জির যেখানে পাল্স পাওয়া যায়, সেই জায়গাটির কাছে বহু শিরা থাকে। সেখানে ঠান্ডা ভাব তৈরি হলে গোটা শরীর ঠান্ডা হয়। এই পদ্ধতি পছন্দ না হলেও গরমকালে মাঝেমধ্যে হাত ধুয়ে নিলে কিছুটা কাজ হতে পারে।