প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
গরমকালে ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় শরীর থেকে যখন ঘাম বেরিয়ে যায়, তখন আরাম দেয় ডাবের জল। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে ডাবের জল শরীরকে আর্দ্রও রাখে। নারকেলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট ও উপকারী ফ্যাট। পরিমিত পরিমাণে খেলে এতে শরীরের কার্যশক্তি বাড়ায় এবং পেট ভরে রাখে। পেট ভরে থাকায় উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় না। যাঁরা ওজন কমানোর খাদ্যাভ্যাসে রয়েছেন, তাঁরা এই নারকেল দিয়ে তৈরি এই সব পানীয় খেতে পারেন। এগুলো গরম কালের জন্যও খুব উপকারী।
লেবু ও পুদিনা দিয়ে ডাবের জল
নারকেল কোরা, পুদিনা, লেবুর রস ও মধু এক গ্লাস ডাবের জলে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই পানীয় খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এব তেষ্টাও মিটবে।
আম ও নারকেলের স্মুদি
এই পানীয়তে রয়েছে আম, মধু, সর্ষের বীজ, ওটস, দই, এবং নারকেলের দুধ। ওজন কমাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য এই পানীয় ভীষণই উপকারী। সকাল বেলা এটা খেলে দিনভর শারীরিক শক্তি পাবেন।
বরফ দেওয়া নারকেলের চা
চা খেতে কে না ভালবাসে! আর নারকেলের চা সুস্বাদু তো বটেই, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। গরমের দিনগুলোয় এই চা খেলে ঠান্ডা থাকবে শরীরও। বরফ দেওয়া নারকেলের চা করতে নারকেলের দুধ ছাড়াও লাগবে দারচিনি ও ছোট এলাচ। স্বাদ বাড়াতে দিতে পারেন হালকা মধুও।
আম-নারকেলের স্মুদি।
নারকেল ও আনারসের পানীয়
ডাবের জলের পাশাপাশি আনারসের রসও শরীর ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখে। এই পানীয় বানাতে লাগবে আনারস, লেবু, কমলালেবু, আদা এবং ডাবের জল। গরমকালে তৃপ্তি বাড়াতে উপরে দিতে পারেন কয়েকটি বরফের টুকরোও। ভিটামিনসমৃদ্ধ এই পানীয় ভাল রকম স্বাস্থ্যকর।
প্রতীকী ছবি।
ডাবের জল দিয়ে কফি
যাঁদের ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স’ রয়েছে তাঁদের জন্য এই কফি আদর্শ। নারকেলের দুধ ও ডাবের জল দিয়ে সহজেই এই সুস্বাদু পানীয় বানাতে পারেন। এটা ঠান্ডা করে খেলে বেশি উপকার পাবেন।