ঘর থেকে পোষ্যের লোম পরিষ্কারের উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে ঘর ভরে থাকে। সারা ক্ষণ পোষ্যের দৌড়দৌড়ি, ছোটাছুটিতে মেতে থাকে গোটা বাড়ি। কিন্তু পোষ্যের প্রতি অগাধ ভালবাসা থাকলেও অনেক সময়েই তার লোম ঝরে পড়া একটা বড়সড় সমস্যার হয়ে ওঠে। সারা বাড়িতে লোম পড়ে থাকলে তা পরিষ্কার করা মুশকিলের হয়ে পড়ে। তা ছা়ড়া, বাড়ির যত্রতত্র পোষ্যের লোম ছড়িয়ে থাকাও স্বাস্থ্যকর নয়। হাওয়ায় উড়ে সেগুলি খাবারে গিয়ে মিশলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বাড়ির সকলের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে লোম পরিষ্কারের ব্যাপারে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি।
১) ধুলোর মতো, পোষ্যের লোমও হাওয়ায় ভাসমান হতে পারে এবং স্বাভাবিক ভাবেই, মেঝে ছাড়াও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রে পড়তে পারে। সুতরাং ঘর পরিষ্কার করার সময়ে আসবাবগুলি আগে পরিষ্কার করে নিন। সোফা, চেয়ার বা ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজ সবার আগে করুন। আসবাবের গায়ে আটকে থাকা লোম ঘরের মেঝেতে পড়লে ঝাড় দিয়ে তা বাইরে বার করে দিন।
২) পোষ্যের লোম পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করলে তাড়াহুড়ো করবেন না। ধীরে ধীরে ভ্যাকুয়াম করলে তা কার্পেট জাতীয় জায়গা থেকেও পোষ্যের লোম টেনে তুলতে বেশি কার্যকরী হয়। পোষ্যের লোম খুব সহজেই বিভিন্ন জায়গায় আটকে যায়। তাড়াতাড়ি ভ্যাকুয়াম ক্লিন করতে গেলে সবটা পরিষ্কার করা হয় না।
৩) সোফা, চেয়ার তো বটেই, এমনকি অনেকে বাড়িতে বিছানাতেও পোষ্যের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। ফলে বিছানা, বালিশ, চাদরেও পোষ্যের লোম ছডিয়ে-ছিটিয়ে থাকে। পোষ্যের যদি মেঝেতে কম, বিছানায় থাকার অভ্যাস বেশি হয়, তা হলে বিছানার চাদর, বালিশের কভার সরাসরি কাচতে দিয়ে দেবেন না। প্রথমে ঝেড়ে নিয়ে তার পর কাচতে দিন। প্রথমেই কেচে ফেললে পোষ্যের লোম যেতে চায় না।