সাংকেতিক ভাষায় লেখা শৌচাগারের এই ছবিই এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ছবি- সংগৃহীত
রামকৃষ্ণ পরমহংস বলতেন, "কথা ইশারা বটে।" যুগে যুগে সেই 'ইশারা'র চেহারা বদলায়। কখনও কখনও ইশারা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, তাকে বুঝতে আর তার ভিতরে থাকা রস উপভোগ করতে গেলে প্রয়োজন দারুণ বুদ্ধিমত্তার। সম্প্রতি এক পানপশালার শৌচাগারের বিজ্ঞপ্তির ইশারায় মেতেছেন নেটাগরিকরা। মহিলা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা সাংকেতিক ভাষায় লেখা শৌচাগারের সেই ছবিই এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের শৌচাগারে দরজায় ইংরেজি ভাষায় লেখা রয়েছে ‘গো-পি’ এবং পাশে আঁকা রয়েছে গোঁফওয়ালা এক ব্যক্তির ছবি এবং মহিলাদের জন্য লেখা রয়েছে ‘গো-পি-কা’ এবং পাশে আঁকা রয়েছে এক মহিলা ছবি, যার কপালে রয়েছে টিপ। এ বার বোঝার বিষয় হল, কেন গোপী আর কেনই বা গোপিকা?
ধরা যাক, যদি বাংলাতেই বুঝতে হয়, তা হলে হিসেবটা খুব সহজ। তবে হিসেব মেলাতে গেলে পৌঁছতে হবে একেবারেই অন্য অনুষঙ্গে। 'গোপী' এবং 'গোপিকা'-- এই দুইয়ের অর্থই গোয়ালিনী। আবার ইংরেজিতে ‘গো’ কথার অর্থ যাও এবং ‘পি’ কথার অর্থ প্রস্রাব বা মূত্র ত্যাগ। সুতরাং ‘গো’ ‘পি’ কথাটি শৌচাগারের সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত। পুরুষ বিভাগের ক্ষেত্রে 'গো-পি' যদি 'গোপী-র 'পান' বা শ্লেষালঙ্কার হয়ে থাকে, তবে নারী বিভাগের ক্ষেত্রে 'গো-পি-কা' সেই অনুষঙ্গেরই খানিক বিবর্ধন। শৌচাগারের নির্দেশ-বজ্ঞপ্তিতে এমন রসবোধ নিয়ে মাতোয়ারা নেটমাধ্যম।
সমাজমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নানা দিক থেকে উড়ে এসেছে মন্তব্য। যাঁর মস্তিষ্ক মন্থনে এমন অভিনব 'পান' বা শ্লেষালঙ্কারের জন্ম হয়েছে, সকলেই একবাক্যে তাঁর বুদ্ধিমত্তার তারিফ করেছেন।