ফিটনেসের দিক থেকে এখনও অনেকটাই এগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত।
আইপিএলের চলতি মরসুমে বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কানাঘুষো। তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য ফল গড়তে পারেনি। কিন্তু বিতর্ককে কোনও দিনই খুব একটা পাত্তা দেননি বিরাট। অতীতের কিছু ঘটনা সে দিকেই ইঙ্গিত দেয়। বরং মন দিয়েছেন বাইশ গজে। ব্যর্থতা কিংবা সাফল্য— বিরাট নিজেকে স্বতন্ত্র রাখতে চান সব ক্ষেত্রেই। যেমন ফিটনেসের দিক থেকে এখনও অনেকটাই এগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
সপ্তাহে পাঁচ দিন কঠিন শরীরচর্চার পাশাপাশি বিরাট নাকি খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে এতটাই সচেতন যে, তা নিজে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। নিজেকে ফিট রাখতে প্রাক্তন অধিনায়কের সংযম ‘বিরাট’। যা-ই হয়ে যাক, ডায়েটের নড়চড় হয় না। বিরাট এক সময় বাটার চিকেন আর মটন রোল খেতে ভালবাসতেন। সে সব এখন অতীত। কয়েক বছর ধরে নিরামিষ খাবারেই নিজেকে অভ্যস্ত করেছেন। ফিটনেস ধরে রাখার এই সাংঘাতিক প্রবণতা অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগায়। বিরাট অনুরাগীরা জানতে চান, তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটারের নিরামিষ ডায়েটে কী কী খাবার থাকে।
খেলোয়াড়দের ডায়েট হয় কঠিন। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। ডাল, টোফু, কিনোয়ার মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খান কোহলি। সেই সঙ্গে পাতে থাকে সতেজ ফল এবং নানা ধরনের সব্জি। শরীরে মিনারেলস এবং ভিটামিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে শাকসব্জি আর ফল খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিরাট।
বিরাট নিজেকে স্বতন্ত্র রাখতে চান সব ক্ষেত্রেই। ছবি: সংগৃহীত।
তবে শুধু ভিটামিন আর মিনারেলস ফিটনেসের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটসও প্রয়োজন শরীরের। তাই এই উপাদান-সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু, ব্রাউন রাইস, বিভিন্ন শস্যের মতো খাবার বেশি করে খান তিনি। এগুলিতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কিন্তু ফিট থাকতে দারুণ উপকারী এই সব খাবার। বাদাম, নানা ধরনের বীজ, অ্যাভোকাডোর মতো খাবার তাই নিয়মিত খান কোহলি। ব্যস্ততার মাঝেও জল খেতে ভোলেন না তিনি। কয়েক মিনিট অন্তর জল খান। সারা দিনে কত লিটার জল খেলেন, মাঝেমাঝে নিজেও নাকি গুলিয়ে ফেলেন।