লেটুস জলে কি ঘুমপাড়ানি শক্তি রয়েছে?
নেটমাধ্যমে ছেয়ে গিয়েছে একটি ভিডিয়ো। এক তরুণী ঘুমোতে পারছেন না বলে, ফুটন্ত গরম জলে কয়েকটি লেটুস পাতা ফেলে দিলেন। স্বাদ আনতে সামান্য পিপারমেন্ট চাও দিলেন। তারপর ঢকঢক করে খেয়ে বললেন, এবার নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। এই ভিডিয়ো নিমেষে ছেয়ে যায় নেটামাধ্যমে। এবং কয়েকদিনের মধ্যেই বহু মানুষ এই টোটকা অবলম্বন করে ঘুমিয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কতটা সত্যতা রয়েছে এই টোটকায়?
নেটমাধ্যমে মাঝেমাঝে নানা রকম স্বাস্থ্য সম্পর্ক টোটকা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকগুলোই দেখা যায়, বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি নেই। তবে ঘুম এবং লেটুস পাতার মধ্যে যে একটা বৈজ্ঞানিক যোগ রয়েছে, তা খুব একটা মিথ্যে নয়। ২০১৭ সালের মে মাসে ‘ফুড সায়েন্স বায়োটেকনোলজি’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে লেটুস পাতার জল খেলে ঘুম আসতে সুবিধে হয়। ইঁদুরদের উপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে রেড রোমেইন লেটুসের জল খেলে তারা অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকছে। তবে কতটা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ছে, তার সঙ্গে লেটুস পাতার সরাসরি কোনও যোগ আছে কিনা, তা এই পরীক্ষায় পরিষ্কার হয়নি।
আরও একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে গরম জলে লেটুস পাতা দিয়ে যত না গভীর ঘুম হয়, তার চেয়ে লেটুসপাতার নির্যাস খেলে অনেক বেশি কাজ হবে। তবে লেটুসপাতার জল খেলে শরীরে তেমন কোনও ক্ষতির ভয় নেই, বলছেন চিকিৎসকেরা। তবে ঘুমের আগে খুব বেশি পরমাণে তরল খেলে বারবার বাথরুম যেতে হতে পারে। তাতে ঘুমেরই ব্যাঘাত ঘটবে। লেটুস পাতার জল না খেয়ে গোটা লেটুস স্যালাডে খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যাবে শরীরে।