Online Scam

সব্জি বিক্রেতা থেকে কয়েক মাসের মধ্যে ২১ কোটি টাকার মালিক, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার যুবক

সব্জি বিক্রি করতেন। হঠাৎ পেশা বদল করে হয়ে গেলেন ২১ কোটি টাকার মালিক। রাতারাতি যুবকের এই উত্থানের নেপথ্যে কোন রহস্য?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০৩
Share:

সব্জি বিক্রেতা পেশা বদল করে হয়ে গেলেন অনলাইন ‘স্ক্যামার’। ছবি: সংগৃহীত।

ছিলেন সব্জি বিক্রেতা। কোভিডকালে পেশা বদল করে হয়ে গেলেন অনলাইন ‘স্ক্যামার’। ফরিদাবাদের বাসিন্দা বছর ২৭-এর যুবক ঋষভকে ২১ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব্জির ব্যবসা ছেড়ে হঠাৎ ওই যুবক কী ভাবে এই পথে এলেন, তা জানতে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

Advertisement

কোভিডের সময় সব্জির দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ঋষভ। পেট চালাতে পার্ট টাইম কাজের খোঁজ শুরু করেন। সেই সময় ঋষভের এক বন্ধু তাঁকে একটি কাজের কথা বলেন। তিনি নিজেও অনলাইন প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বন্ধুর কাছে কাজের বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর প্রথমে ভয়ে পিছিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ওই যুবক। তবে মোটা টাকার লোভ সংবরণ করতে না পেরে কাজে যুক্ত হন। দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫-৬ জন।

বিভিন্ন নম্বরে হোয়াট্সঅ্যাপ করে বাড়ি থেকে কাজের সুযোগের কথা জানানো হত। আগ্রহীরা অনেকেই যোগাযোগ করতেন। তেমনই সোনিয়া নামে এক তরুণী হোয়াট্সঅ্যাপে এমন মেসেজ পেয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। আগ্রহীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফাঁদে ফেলার মূল কাজটি করতেন ঋষভ। তিনি সোনিয়ার উৎসাহের কথা জানতে পেরে তাঁকে আরও একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে বলেন, ২ হাজার টাকা জমা দিতে। মাসিক বেতনের সঙ্গে সেই টাকা দ্বিগুণ হারে ফেরত দেওয়া হবে। সোনিয়া তা বিশ্বাস করে বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠান। কিন্তু লিঙ্কে ক্লিক করে টাকা পাঠানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। সোনিয়ার মতো এমন আরও অনেককেই ফাঁদে ফেলে কয়েক দিনে মোট ২১ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন ঋষভ। তবে সোনিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ঋষভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দলের বাকিদের খোঁজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement