স্যালাড থেকে শুরু করে নুডলস, চিকেনের পদেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে লাল, হলুদ, সবুজ বেল পেপার। কিন্তু এর গুণ না জেনেই হয়তো বিভিন্ন পদে বিভিন্ন ভাবে এর ব্যবহার করা হয়। একে একে জেনে নিন বেল পেপারের গুণাগুণ।
• ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে বেল পেপারে। তাই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বেল পেপার রান্না করলে এর ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বরং কাঁচা বেল পেপার স্যালাডে খেলেই এর পুষ্টিগুণ পুরোপুরি পাওয়া যায়। স্টার-ফ্রাই মেথডেও বেল পেপার রান্না করে খেতে পারেন। উচ্চ তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রান্না না করাই ভাল। ডায়াটিশিয়ান কোয়েল পাল চৌধুরী বললেন, ‘‘তবে কী রঙের বেল পেপার খাচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করবে ভিটামিন সি-র কনসেনট্রেশন কতটা। যেমন, রেড বেল পেপারেই ভিটামিন সি সর্বাপেক্ষা বেশি পাওয়া যায়।’’
• এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসও ভরপুর থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
• ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায় বেল পেপার থেকে। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও বেল পেপার সহায়ক। একই সঙ্গে চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভাল। হাড় ও হার্ট দুই-ই ভাল রাখে।
• পটাসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি উপাদানও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বেল পেপারে। তাই শরীরের আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতাও বাড়ায়।
দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে বেল পেপার না খাওয়াই ভাল। বাজার থেকে কিনে দু’তিন দিনের মধ্যে খেয়ে নিলেই উপকার বেশি।