যমজ সন্তান হলেও জন্মদিন আলাদা। ছবি: সংগৃহীত।
পর পর দু’দিন দু’টি সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা। আজব এই ঘটনা ঘটল আমেরিকায়। ৩২ বছর বয়সি ক্যালসে হ্যাচারের শরীরে আছে জোড়া জরায়ু। মহিলা ১৯ ডিসেম্বর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ও ২০ ডিসেম্বর মহিলার কোল আলো করে আসে আরও একটি কন্যাসন্তান। মহিলা নিজেই তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় এই অবিশ্বাস্য প্রসবের সংবাদ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
যমজ সন্তান হলেও দু’জনের জন্মদিন আলাদা। ১৭ বছর বয়সে মহিলা জানতে পারেন, তাঁর শরীরে দু’টি জরায়ু রয়েছে। সারা বিশ্বে মাত্র ০.৩ শতাংশ মহিলাদের দু'টি জরায়ু থাকে। দু’টি জরায়ুর নিজস্ব ডিম্বাশয় এবং ফেলোপিয়ান টিউব থাকে। দু’টি জরায়ুতে একই সঙ্গে সন্তানধারণের ঘটনা আরও বিরল। ১০ লক্ষ মহিলার মধ্যে এক জনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। ক্যালসে এর আগে তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ বারও প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন, তাঁর গর্ভে একটি সন্তানই রয়েছে। তবে আলট্রাসাউন্ড করানোর পর তিনি জানতে পারেন, তিনি যমজ সন্তানের মা হতে চলেছেন, যারা বেড়ে উঠছে তাঁর দু’টি ভিন্ন জরায়ুতে।
দু’টি জরায়ু থাকলে কি মা হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ?
চিকিৎসকদের মতে, এ ক্ষেত্রে সাধারণত জরায়ুর আকৃতি গর্ভধারণ করতে বাধা দেয় না। তবে কখনও কখনও জরায়ুর আকার ভ্রূণের বৃদ্ধিকে সীমাবদ্ধ করতে পারে। গর্ভের অস্বাভাবিক আকৃতি ওই এলাকার রক্তপ্রবাহকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে। সময়ের আগেই সন্তান জন্মানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। এই অবস্থায় মহিলাদের অনেকের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় অত্যধিক রক্তপাত ও ব্যথা হয়। সন্তানধারণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।