প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার আগে জেনে নিন, কোন চুম্বনের কী অর্থ। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের সম্পর্কে ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড’ করা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শুধু কী তাই, যে কোনও প্রিয়জনের সঙ্গে ভালবাসা বিনিময়ের সবচেয়ে সুন্দর উপায় হল চুম্বন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। চুম্বন যে শুধু প্রেমকে মধুময় করে তাই-ই নয়, স্বাস্থ্যের পক্ষেও দারুণ উপকারী প্রিয়জনকে চুম্বনের অভ্যাস। নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি রোজ চুমু খেলেও স্বাস্থ্য থাকবে ঝরঝরে। মনেও থাকবে আনন্দ। জীবনে আসবে উদ্যম। চুমুর প্রকারভেদ অনেক। চুমুর ধরন অনুয়ায়ী বদলে যায় নামও। প্রিয়জনকে চুমু খাওয়ার আগে জেনে নিন, কোন চুমুর কী তাৎপর্য।
এস্কিমো কিস: নাম শুনেই বোঝা যায় এই চুমু এস্কিমোদের থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই চুমুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এক জনের নাক অপর জনের নাকের সঙ্গে ঘষাঘষি করা, কিছুটা সময় ধরে। মূলত স্নেহ প্রকাশ করতেই এই চুমুর অবতারণা। কেবল প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যেই নয়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও এই প্রকার চুমুর আদানপ্রদান হয়।
ফ্রেঞ্চ কিস: অনেকেই মনে করেন এই চুমুর সঙ্গে ঠোঁটের সম্পর্ক আছে। তবে এই চুমুতে ঠোঁটের কোনও গুরুত্ব সে ভাবে নেই। এই চুমুর ক্ষেত্রে দু’জনের জিহ্বার সংস্পর্শ হয়। এই চুমুতে পারদর্শী হতে নাকি বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যায়! তবে, এই চুমুতে বেশ রোম্যান্টিকতার ছোঁয়া রয়েছে। একে অপরকে নিবিড় ভাবে কাছে পাওয়ার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে এই চুমু।
সিঙ্গল লিপ কিস: স্বামী ও স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকারা খুব ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে এই ধরনের চুমু খেয়ে থাকে। নামের মতোই এই চুমুর ক্ষেত্রে একটি মাত্র ঠোঁটের ব্যবহার করা হয়। এই চুমুর ধরন খানিকটা স্যান্ডউইচের মতো। এক জনের দু’টি ঠোঁটের মাঝে অপর জনের একটি ঠোঁট থাকে।
লিঙ্গারিং কিস: এই চুমুর ক্ষেত্রে জিহ্বার কোনও রকম ব্যবহার হয় না। মুখ বন্ধ করে শুধু এক জনের ঠোঁট অপর জনের ঠোঁটকে আলতো করে ছুঁয়ে থাকে। তার পর খানিক ক্ষণ এই ভাবেই থাকা। খুব গভীর ভালবাসার প্রকাশ করতে এই ধরনের চুমু খাওয়া হয়।
চুমুর প্রকারভেদ অনেক। ছবি: সংগৃহীত।
কপালে চুমু খাওয়া: প্রথম ঘনিষ্ঠতা বা প্রথম বন্ধুত্ব ঘটলে কপালে চুমু খেয়ে ভালবাসা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। একে স্নেহের চুম্বনও বলা যায়। এটাকে সাধারণত ‘স্টার্টার কিস’ বলা হয়ে থাকে।
ইয়ারলোব কিসিং: এই চুম্বনে ঠোঁটে চুমু না খেয়ে কানের লতিতে চুমু খেতে হয়। এতে অদ্ভুত উদ্দীপনা তৈরি হয়। কারণ, কানে অনেক ‘নার্ভ এন্ডিং’ রয়েছে। অর্থাৎ, অনেক স্নায়ুই কানের কাছে এসে শেষ হয়। এই চুমু সাধারণত প্রেমের সম্পর্কে খাওয়া হয়ে থাকে।
হাতে চুমু খাওয়া: কারও হাত সামনের দিকে টেনে করতলের পিছনে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ ইউরোপে বহু প্রাচীন। এর সাহায্যে অপরকে সম্মান ও সৌজন্য প্রকাশ করা বোঝায়।