ক্ষীর।
নৈবেদ্য ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। প্রত্যেক পুজোতেই তার উপাচার মেনে দেব-দেবীকে নৈবেদ্য দান করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং নিয়ম মেনে পুজো করতে হলে এই দিন গোপালকে দিতে হয় ছাপান্ন ভোগ। এই ভোগের মধ্যে মিষ্টির সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তাই জন্মাষ্টমীর দিনে বাড়িতে বানাতে পারেন এই দু’টি মিষ্টি পদ। কী ভাবে বানাবেন, শিখে নিন।
ক্ষীর
উপকরণ:
দুধ: ১ লিটার
মুগ ডালের গুঁড়ো: ৬০ গ্রাম
চালের গুঁড়ো: ৩০ গ্রাম
চিনি: ১৫০ গ্রাম
খোয়া: ৭৫ গ্রাম
খেজুর: ১০০ গ্রাম
কিশমিশ: ২৫ গ্রাম
বাদাম: ২৫ গ্রাম
এলাচ: ১/২ চা চামচ
কেশর সামান্য
প্রণালী:
দুধ গরম করে তাতে কেশর, এলাচ, চিনি, মুগডাল ও চালের গুঁড়ো দিয়ে দিন। সবটা ঠিক মতো না মেশা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। একটু ঘন হয়ে এলে খোয়া, খেজুর দিয়ে দিন। ভাল ভাবে মেশান। এর পরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে মিনিট দশেক নাড়ুন। হয়ে গেলে উপরে খেজুরের কুচি ছড়িয়ে নৈবেদ্যের বাটিতে সাজিয়ে দিন।
মোহন ভোগ।
মোহন ভোগ
উপকরণ:
দুধ: ১/২ লিটার (ঘন করে ফোটানো)
সুজি: ১/২ কেজি
ঘি: ২ কাপ
পেস্তা: ১/২কাপ (ভাঙা)
কাজুবাদাম:১/২কাপ (ভাঙা)
কিশমিশ: ১/২কাপ
খোয়া: ১ কাপ (মিহি করে গুঁড়ো করা)
কনডেন্সড মিল্ক: ২ টেবিল চামচ
কেশর: সামান্য
এলাচ: ৪টি
দারচিনি: ১ ইঞ্চি
ঘি: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
একটি পাত্রে ঘি গরম করে নিয়ে তাতে এলাচ ও দারচিনি দিয়ে একটু নাড়ুন। হাল্কা ভাজা ভাজা গন্ধ বেরোলে সুজি দিয়ে নাড়তে থাকুন। সুজি একটু বাদামি হয়ে এলে তাতে চিনি দিয়ে দিন। পুরোটা ভাজা ভাজা হয়ে এলে ঘন করে রাখা দুধ, কাজু বাদাম, পেস্তা, খোয়া ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে দিন ভাল করে। তার পর মিনিট পাঁচেক ঢেকে রাখুন।পুরোটা একটু জমাট বেঁধে হালুয়ার মতো হয়ে গেলে উপরে বাদাম, কেশর ছড়িয়ে নৈবেদ্যের বাটিতে সাজিয়ে দিন।