স্পা করলে মেজাজ থাকবে হালকা, তরতাজা। ফাইল ছবি।
লকডাউন উঠলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক দেরি। কাজ কমেনি এতটুকু৷ একদিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দৌলতে ৯-১০ ঘণ্টা কোথা দিয়ে কেটে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না, ঘাড়-পিঠ-মাথায় সেই আগের মতোই টিপটিপ, দপদপে ব্যথা৷ তার উপর গৃহ সহায়িকার অভাবে করতে হচ্ছে ঘরের জুতো সেলাই থেকে চণ্ডী পাঠ৷ তার মধ্যে করোনা আবহ রয়েই গিয়েছে।
সবাই মিলে টুকটাক সাহায্য করলেও বেশি কাজ বা়ড়ির মহিলাদেরই ঘাড়ে। রান্না থেকে বাসন ধোওয়া, ঘর পরিষ্কার করা, সব৷ তবে শুক্রবার পেরোলেই মনে ঠিক আগের মতো আনন্দ ৷ যাক, দু-দিন একটু রিল্যাক্স করা যাবে, ভাবছেন অনেকেই৷
আগে রিল্যাক্সেশনের অনুপান ছিল ম্যাসাজ কিংবা স্পা৷ কখনও বাড়িতে ডেকে নিতেন ম্যাসিওর তো কখনও নিজেই চলে যেতেন স্পায়ে৷ এখন সেই সুযোগ নেই৷ কাজেই নিজেকেই উদ্যোগ নিতে হবে৷
আরও পড়ুন: এই গাছের শিকড়েই জব্দ হবে করোনা ?
ঘরেই পাবেন স্পা-এর আরাম
• কাজ সেরে নিজের জন্য ঘণ্টা দুয়েক সময় বার করে নিন৷ সবাইকে বলে দিন এ সময় যেন কেউ ডাকাডাকি না করেন৷ অন করে দিন গিজারের সুইচ ও হালকা মিউজিক৷ বাটিতে কিছুটা গোলাপ জলে তুলোর প্যাড ডুবিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা হতে দিন৷
• আধ বালতি ঈষদুষ্ণ গরম জলে এক চামচ বাথ সল্ট বা না থাকলে এক চামচ নুন দিয়ে পা ডুবিয়ে বসুন মিনিট দশেক৷ সারাদিন দাঁড়িয়ে, বসে, ঝুঁকে হাজারো কাজ করে পায়ে যে ব্যথা হয়েছে তাতে একটু হলেও প্রলেপ পড়বে৷
• ইচ্ছে হলে সাবান ও ব্রাশ দিয়ে ঘষে পা একটু পরিষ্কারও করে নিতে পারেন৷ ব্যথার জায়গাগুলো আলতো করে ধরে ম্যাসাজ করতে পারেন৷
•বাথটব থাকলে তো কথাই নেই, উষ্ণ জলে ফোম বাথ নিতে পারবেন৷ না থাকলে উষ্ণ ধারাস্নান করুন৷ শরীরের সব পেশি-সন্ধি রিল্যাক্সড হবে৷ বসে কাজ করার জন্য ঘাড় ও কোমরে ব্যথা হলে সে সব জায়গা দিয়ে গরম জল বয়ে যেতে দিন একটু বেশি সময়৷ ব্যথা অনেক কমবে৷ লুফা ও সুগন্ধি সাবানে ঘষে ঘষে গা পরিষ্কার করতে হবে৷ মরা কোষ উঠে যাবে৷ ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে৷ সুগন্ধে ভাল হবে মন৷
•ইচ্ছে হলে বালতির জলে সুগন্ধি বাথ সল্ট মিশিয়েও গায়ে ঢালতে পারেন৷ না থাকলে সাধারণ নুন মিশিয়ে নিন৷ খসখসে ত্বকে জল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে নুনের ভূমিকা আছে৷
•অনেকে জলে সুগন্ধী এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নেন৷ না থাকলে দু-ফোঁটা কোলনও মিশিয়ে নিতে পারেন৷ বেশি তরতাজা লাগবে৷
•পরিষ্কার নরম তোয়ালেতে গা হালকা করে মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগান ভাল করে ঘষে ঘষে৷ ম্যাসাজের আরাম যেমন হবে, ত্বকও হবে নরম৷
• ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরে শুয়ে পড়ুন৷ চোখে-মুখে চাপা দিন ঠান্ডা গোলাপজলে ভেজানো তুলো৷ গরম হয়ে গেলে আবার ভিজিয়ে নিন৷ ৫-১০ মিনিট শুয়ে থাকুন৷
• ইচ্ছে হলে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শশার রস মুখে লাগিয়ে রাখুন খানিকক্ষণ৷ শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন ঠান্ডা জলের ঝাপটায়৷ ত্বক শুকনো লাগলে একটু ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে পারেন৷
•এরপর পরিপাটি দিবানিদ্রা নয়তো গরম চা বা ঠান্ডা ফলের রসে চুমুক দিতে দিতে বই পড়া বা গান শোনা৷ ব্যাস৷
ব্যাস। আর চিন্তা কী, বাড়িতেই নিজের জন্য সময় খুঁজে স্পা করতে পারলে করোনা আবহে অনেকটাই হালকা মেজাজে থাকা যাবে।