‘ডায়াবেটিক ফুট’এর সমস্যায় ভুগলে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের দাপট যত বাড়ছে, চামড়ায় ততই টান ধরছে। আর গোড়ালির অবস্থা যে কী হয়, তা বলার নয়। তেল, ময়েশ্চারাইজ়ার, পেট্রোলিয়াম জেলি কোনও কিছুতেই কাজ হয় না। যত ক্ষণ মোজা-জুতো পরে আছেন তত ক্ষণ ঠিক আছে। কিন্তু মোজা খুলতে গেলেই বিপদ! ফাটা গোড়ালির খাঁজে মোজা আটকে যায়। এই অবস্থায় পা পরিষ্কার করাও বেশ ঝক্কির। লোকের সামনে এই পা নিয়ে বেরোতেও লজ্জা করে। ‘ডায়াবেটিক ফুট’এর সমস্যায় ভুগলে তাঁদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই ঠান্ডায় নিয়মিত সালোঁয় গিয়ে পেডিকিয়োর যদি না করাতে চান, তা হলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।
১) গরম জলে পা ডোবান
বাড়ি ফিরে নিয়ম করে গরম জলে মিনিট পনেরো পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। চাইলে কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পুও মিশিয়ে নিন। নরম ব্রিসল্স যুক্ত ব্রাশ দিয়ে খাঁজে খাঁজে জমে থাকা ধুলোময়লা পরিষ্কার করে নিন।
২) এপসম নুন দিয়ে এক্সফোলিয়েট
বাড়িতে যদি অলিভ অয়েল থাকে, তার মধ্যে একমুঠো এপসম নুন মিশিয়ে নিন। চাইলে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ পায়ের পাতায় মেখে রাখুন কিছু ক্ষণ। গোড়ালি খুব ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিন্তু নুন লাগলে জ্বালা করতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। হালকা হাতে ঘষে ধুয়ে নিলেই মৃত কোষের সমস্যা দূর হবে।
৩) অ্যালো ভেরা জেল
এ বার পায়ের পাতায়, গোড়ালিতে অ্যালো ভেরা মেখে রেখে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। না হলে এর উপরেই মাখতে হবে ঘরোয়া একটি মাস্ক।
৪) মধু এবং কলার মাস্ক
পাকা একটি কলা চটকে তার মধ্যে ১ টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক পায়ে মেখে রাখুন আধ ঘণ্টা। পায়ের ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই মাস্ক। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) শিয়া বাটারের প্রলেপ
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ে, গোড়ালিতে শিয়া বাটার মেখে নিন। তার পর পরিষ্কার, সুতির মোজা পরে বিছানায় যান।