হিমাচলে কঙ্গনার পারিবারিক পিকনিক এবং হিমাচলের স্থানীয় খাবার সিদ্দু ছবি: সংগৃহীত
পাহাড়ে গেলে খিদে পেলেই যেন ম্যাগি খেতে ইচ্ছা করে। সেই ম্যাগির স্বাদই আলাদা। যাঁরা সেই স্বাদের ভক্ত, তাঁরা অন্য কিছু সহজে খেতে চান না। আবার আর এক দল রয়েছে, যারা সারাক্ষণ নানা ধরনের মোমো খেয়েই পুরো পাহাড়-সফর শেষ করে ফেলেন। কিন্তু জানেন কি, আমাদের হিমালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আরও নানা ধরনের স্থানীয় খাবার রয়েছে। যেগুলি এক বার চেখে দেখলে আর অন্য খাবার খেতে চাইবেন না। তা হলে পরের সফরে কী কী খাবেন, সেই তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিন।
সেল রুটি
সেল রুটি
সিকিম বা দার্জিলিঙে গেলে পরের বার সেল রুটির খোঁজ করবেন। আংটির মতো দেখতে মিষ্টি পাউরুটি ডুবো তেলে ভাজা। চায়ের সঙ্গে খাওয়ার মজাই আলাদা। কুমায়ুন এলাকাতেই কোনও কোনও পার্বণের দিনে এগুলি পেয়ে যাবেন।
সেকুয়া
সেকুয়া
মাংসের ভক্ত? পাঁঠার মাংসের এই পদ তা হলে খেতেই হবে। অনেক জায়গায় পর্ক বা ল্যাম্ব দিয়েও তৈরি হয়। স্থানীয় মশলায় মাখিয়ে মাংস উনুনে রান্না করা হয়। পোড়া কাঠের গন্ধ মিশে স্বাদও হয়ে যায় স্বর্গীয়।
সিদ্দু
সিদ্দু
হিমাচলের এই জনপ্রিয় খাবারের ছবি হয়তো আপনি কঙ্গনা রানাউতের ইনস্টাগ্রামে দেখেই থাকবেন। এই পদ আদপে এক ধরনের পুর ভরা পাউরুটি। কোনও কোনও জায়গায় মিষ্টি, আবার কোনও কোনও জায়গায় নোনতাও পাওয়া যায়। মিষ্টি পাউরুটির পুরে থাকে গুড়, পোস্ত এবং ড্রাই ফ্রুট। নোনতা পাউরুটির পুরে দেওয়া হয় মটরশুঁটি সিদ্ধ। মেথি, লঙ্কা এবং অন্য মশলা দিয়ে সিদ্ধ মটরশুঁটি চটকে মেখে তার মধ্যে ড্রাই ফ্রুট দেওয়া হয়। দু’রকম স্বাদই দারুণ।
সিমাই ভাজি
সিমাই ভাজি
এক ধরনের থালি বলতে পারেন। চিড়ে, কালো সয়াবিন, ঝলসানো মাংস, ডালের বড়ার মতো নানা খাবার খুব সুন্দর ভাবে প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে ঘরে তৈরি ওয়াইন আইলা পেলে দারুণ জমবে।
থাকালি
থাকালি
নেপালি থালির নাম থাকালি। পঞ্জাবি বা রাজস্থানি থালির মতোই নানা পদ একসঙ্গে পাবেন। তবে সবেরই স্বাদ নেপালি রান্নার। একটু ঝাল-মশলা খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের দারুণ লাগবে।