যোগাসনের সময় ৫ ভুল করলে কখনওই ওজন কমবে না। ছবি: সংগৃহীত।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ায়, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব— এই সব কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। প্রতি দিন দীর্ঘতর হচ্ছে প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নামগুলি। তার পরেও সব কিছু ঠিক নেই। আজ পায়ে ব্যথা, কাল হজমের সমস্যা, পরশু মাথার যন্ত্রণা— কিছু না কিছু লেগেই রয়েছে। তবে কি বয়সের ভারের প্রকোপ থেকে বেরিয়ে এসে মোটের উপর সুস্থ থাকা সম্ভব নয়? নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। বয়সের ছাপ শরীর ও মন থেকে মুছে ফেলতে যোগাসন ও প্রাণায়ামের জুড়ি নেই। তবে যোগাসনের সময়ে সঠিক নিয়ম মেনে চললে তবেই পাবেন সুফল।
যোগাসনের সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১) ভরা পেটে কখনওই কোনও ব্যায়াম করা উচিত নয়। যোগাভ্যাস করার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আগে কিছু খাবেন না। খাবার সঠিক ভাবে হজম হলে তবেই যোগাসন করুন। নইলে অল্পতেই ক্লান্তি ভাব আসবে। খুব ভাল হয় যদি সকালেই সেরে ফেলতে পারেন যোগাভ্যাস।
২) যোগের সময় যন্ত্র নির্ভর হলে চলবে না। যোগাভ্যাসের সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ আসন আর প্রাণায়ামের উপরেই দিতে হবে। যোগাসন করতে করতে মোবাইল, টিভি কিংবা অন্য কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়।
ভরা পেটে কখনওই কোনও ব্যায়াম করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) যোগাসনের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি মেনে না করলে সমস্ত পরিশ্রমই বৃথা হবে। তাড়াহুড়োর মধ্যে যোগচর্চা না করাই ভাল। ক্লান্ত বোধ করলে কিংবা সারা দিনের কঠোর পরিশ্রম করে যোগাসন না করারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দিনের শুরুতে যোগাভ্যাস করলে সবচেয়ে ভাল। শেষের দিকে এক মনে প্রাণায়াম করতে ভুলবেন না। শ্বাস নেওয়ার পদ্ধতি যেন সঠিক থাকে সে বিষয় সতর্ক থাকুন। সব শেষে শবাসন অবশ্যই করতে হবে।
৪) শরীরে কোনও চোট-আঘাত পেলে কোনও জটিল আসন করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে করবেন। নইলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পোশাকের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যোগাসনের সময় খুব বেশি আঁটসাঁট পোশাক না পরাই শ্রেয়। যোগা ম্যাট ছাড়া আসন করবেন না।
৫) যোগাসন করেই অনেকে স্নান করে ফেলেন। এই ভুল কখনওই করবেন না। যোগাসনের পর ৩০ মিনিট স্নান করবেন না। এই সময়ের মধ্যেও কিছু খাবার কিংবা পানীয় না খাওয়াই ভাল।