হাইস্কুল কিংবা কলেজপড়ুয়াদের মুখে ব্রণর আভাস চেনা ছবি। কিন্তু বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে গেলেও যদি রয়ে যায় এই অ্যাকনের সমস্যা, তবে তার কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি বইকি।
ব্রণ বা অ্যাকনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনও স্বতন্ত্র রোগ নয়, বরং কোনও সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। এর ধরনও অনেক রকমের হয়। অনেক সময়ে অ্যাকনে আর অ্যাকনেফর্ম ইরাপশনে গুলিয়ে ফেলা হয়। দ্বিতীয়টি খানিকটা র্যাশের মতো, মুখের বদলে বুকে, পিঠে, বাহুমূলে বেশি দেখা যায়। অ্যাকনে সাধারণত দেখা যায় মুখে। টিনএজার নন, এমন কারও এ ধরনের সমস্যা দেখা গেলে কিছু দিক বিবেচনা করা দরকার। যদি কেউ একটানা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান, তাঁর অ্যাকনেফর্ম ইরাপশন দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য অ্যান্টি-সাইকটিক ড্রাগসের ক্ষেত্রেও।
৩০-৪০ বছর বয়সি কারও নতুন করে মুখে ব্রণর সমস্যা দেখা দিলে, ত্বক-স্ক্যাল্প অতিরিক্ত তেলতেলে হলে, তার মূল কারণ হতে পারে হরমোনের তারতম্য। যেমন, শরীরে প্রোল্যাকটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া কিংবা অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়া।
এ প্রসঙ্গে ডার্মাটোলজিস্ট ডা. সন্দীপন ধর বললেন, ‘‘বেশি বয়সে হঠাৎ অ্যাকনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, এমন রোগীদের আমরা প্রথমেই কিছু প্রশ্ন করি। যেমন, তাঁর শরীরে রোমের আধিক্য আছে কি না। গত এক বছরের মধ্যে ওজন হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে কি না। চুল পড়ার মতো সমস্যা, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা আছে কি না। পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যাও এই লক্ষণগুলির সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের উপসর্গ থাকলে শরীরে মেল হরমোন বেশি ক্ষরিত হচ্ছে বলে মনে করা হয়। ত্বকের জন্য কিছু মলম, ফেস ওয়াশ, সাবান প্রেসক্রাইব করে আমরা রোগীকে কোনও দক্ষ এন্ডোক্রিনোলজিস্টের পরামর্শ নিতে বলি।’’
বেশি বয়সে অ্যাকনের সমস্যা সাধারণ ওষুধে না কমলে সতর্ক হওয়া দরকার। অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে টিউমর আছে কি না, তা পরীক্ষা করা জরুরি সে ক্ষেত্রে।