সৌমিতৃষা কুন্ডু। ছবি: সংগৃহীত।
ছোটপর্দায় পরিচিত মুখ সৌমিতৃষা কুন্ডু। ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের মিঠাইকে এখনও ভুলতে পারেনি দর্শক। তবে আপাতত আর সিরিয়াল নয়, বড় পর্দার কাজে মন দিয়েছেন সৌমিতৃষা। অভিজিৎ সেন পরিচালিত নতুন ছবি ‘প্রধান’-এ নায়ক দেবের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌমিতৃষা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শুটিং পর্ব।
তবে পুজোর আর মাত্র ৩০ দিন বাকি! শুটিংয়ের ফাঁকে কি পুজোর প্রেম নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন মিঠাই? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে সৌমিতৃষা বললেন ছেলেবেলার পুজোর অভিজ্ঞতার কথা। সৌমিতৃষা বলেন, ‘‘আমি বরাবরই বাবা-মায়ের কড়া শাসনের মধ্যে ছিলাম। পুজোয় ছোটবেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে যেতাম। আবার তাঁদের সঙ্গেই ফিরে আসতাম বাধ্য মেয়ের মতো। মেয়েদের স্কুলে পড়েছি, তাই ছেলেবন্ধু হওয়ার খুব বেশি সুযোগ হয়নি। টিউশনেও বাবা-মা ছাড়তে যেতেন ফলে সেখানেও প্রেম করার কখনও সুযোগ হয়নি।’’ তবে কি পুজো প্যান্ডেলে চোখে চোখে কথা বলা, একে অপরকে দেখে মুচকি হাসা কোনও দিন কিছুই হয়নি? হাসিমুখে সৌমিতৃষা বলেন, ‘‘না, সে তো হামেশাই হত। বাবা-মায়ের সঙ্গে পাড়ার মণ্ডপে গিয়েছি, আর একটি ছেলে অঞ্জলির ফুলটা আমার দিকে ছুড়ে মারল, চোখাচোখি হল, মুহূর্তটা বেশ উপভোগ করলাম— তবে ওইটুকুই। তার পর আবার লক্ষ্মী মেয়ের মতো বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসতাম। পুজোর প্রেম ওইটুকুতেই সীমাবদ্ধ।’’
দুর্গাপুজো ঘিরে এখন থেকেই শহরে পুজো পুজো রব। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল বাঁধা শুরু হয়ে গিয়েছে, মণ্ডপসজ্জার প্রস্তুতি চলছে— তবে কি এই পুজোতেও প্রেমিকের খোঁজ করবেন না সৌমিতৃষা? মিঠাইয়ের জবাব, ‘‘পুজোর চার দিনের প্রেমে আমি বিশ্বাস করি না। এখনই প্রেম কিংবা বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছি না। আপাতত আরও কিছু ভাল কাজ করতে চাই। তবে প্রেম যদি করতেই হয়, নায়কের সঙ্গে না, কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে করব।’’