চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে কৃত্রিম, রাসায়নিক নির্ভর এই ড্রপগুলি ব্যবহার করলে আদতে চোখের ক্ষতি হয়। প্রতীকী ছবি।
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ। সে এক সময় ছিল যখন বয়স ৪০ পেরোলে চালশে পড়ত। কিন্তু এখন আর বয়স দেখে চোখে রোগ আসে না। আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সেও চোখ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বিশ্রাম পায় না চোখ। যত ক্ষণ জেগে থাকেন, চাপ চোখের উপরেই। অফিসে ল্যাপটপে দীর্ঘ ক্ষণ কাজ হোক কিংবা বাড়ি ফিরে মোবাইল ফোনে সিনেমা বা সিরিজ় দেখা। প্রতিদিনের কাজ সামলে চোখের যত্ন নেওয়া কিন্তু খুব কঠিন নয়। সাধারণ কিছু অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেই চোখের বেশ কিছু সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়।
চোখ ভাল রাখতে এবং সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন?
১) গরম জলে চোখ ধোয়া
যতই ঠান্ডা পড়ুক গরম জলে চোখ ধোয়া যাবে না। গরম জল ব্যবহার করলে কিন্তু চোখের ক্ষতি হবে। শুধু গরম জলই নয়, আগুনের আঁচ, ধোঁয়া বা সূর্যের প্রখর তাপ— এই সবকিছুর থেকেই চোখ দুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
২) চোখের পলক না ফেলা
চোখের খুব সামনে কিছু চলে এলে নিজে থেকেই চোখের পলক পড়ে যায়। কিন্তু টেলিভিশনে রোমহর্ষক কোনও দৃশ্য একটানা চলতে থাকলে চোখের পলক পড়তেই চায় না। চোখের পলক না ফেলার এই অভ্যাস কিন্তু চোখের জন্য ভাল নয়।
৩) অতিরিক্ত আইড্রপ ব্যবহার করা
অনেকেই মনে করেন বারে বারে আইড্রপ ব্যবহার করলেই বোধ হয় চোখ ভাল থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে কৃত্রিম, রাসায়নিক নির্ভর এই ড্রপগুলি ব্যবহার করলে আদতে চোখের ক্ষতি হয়।
৪) ঘুমোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার করা
চোখের চারপাশের অংশে বলিরেখা পড়ে খুব তাড়াতাড়ি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই শুতে যাওয়ার আগে চোখের তলায় মাস্ক লাগান। রাসায়নিক দেওয়া গরম মাস্কগুলি বলিরেখার সমস্যা সাময়িক ভাবে দূর করতে পারলেও চোখের ক্ষতি করে দিতে পারে।
৫) চোখ কচলানো
অজান্তেই চোখে হাত দেওয়া বা চোখ কচলানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকের। কিন্তু হাত যদি পরিষ্কার না হয়, সে ক্ষেত্রে হাতে লাগা ধুলো বালি, জীবাণু সরাসরি চোখে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক চোখ থেকে অন্য চোখে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে সময়ও লাগে না বেশি।