প্রতীকী ছবি।
খাবার ফেলে দিতে খারাপ লাগে। কিন্তু যদি খাবার পচে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে ফেলে দেওয়া ছাড়া বিশেষ উপায়ও থাকে না। তবে সেই খাদ্য যদি হয় দুধ, তা হলে উপায় আছে। অনেকই জানেন না, দুধ কেটে গেলেও তার গুণ যায় না। অবশ্যই সেটা আর খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না। কিন্তু অন্য কাজে সহজেই কেটে যাওয়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
আজকের দিনে বহু বাড়ির বারান্দাতেই শখের ছোট্ট বাগান দেখা যায়। বাড়ির বিভিন্ন কাজের মধ্যে সেই সব ছোট ছোট গাছের খেয়াল রাখা শুধুমাত্র একটি অভ্যাস নয়, মানসিক শান্তির জন্যেও কার্যকর হতে পারে। বাড়ির সার্বিক আবহাওয়ার সুস্থতার জন্য গাছের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার বাড়িতেও গাছের সঙ্গে এমন সম্পর্ক থাকে, তা হলে কেটে যাওয়া দুধ ফেলবেন না। প্রিয় গাছগুলির দেখভালের জন্য দুধ অত্যন্ত কার্যকর। দুধে মূলত ভিটামিন বি এবং ক্যালশিয়াম থাকে। এই পরিপোষকের জন্যেই আমরা নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করি। কিন্তু কেটে যাওয়া দুধ যদি আমরা নাও খেতে পারি, গাছের গোড়ায় সেই দুধ দিতে তো কোনও ক্ষতি নেই। সে ক্ষেত্রে গাছও সেই পুষ্টিগুণ পাবে। পাতা আরও সবুজ হওয়ার পাশাপাশি, গাছটি সার্বিক ভাবে আরও স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবে।
প্রতীকী ছবি।
কিন্তু শুধুমাত্র গাছের গোড়ায় দুধ ঢেলে দিলেই কি কাজ হবে? তেমন মোটেও নয়।
একটি পাত্রে সমান পরিমাণে জল এবং দুধ মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর সেই মিশ্রণটি স্প্রে করা যায় এ রকম একটি পাত্রে ঢেলে দিন। এ বার ভাল করে মিশ্রণটি গাছে ছিঁটিয়ে দিয়ে শুকনোর জন্য আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আধ ঘণ্টা পরেও যদি গাছের পাতায় দুধ লেগে থাকে, তা হলে সাবধানে তা কাপড় দিয়ে মুছে দিন। দুধে থাকা ব্যাক্টিরিয়া অনেক সময়ে গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ যাতে গাছে না দেওয়া হয়, সে দিকেও নজর রাখবেন। এতেই দেখবেন আপনার গাছগুলি কী ভাবে ধীরে ধীরে আরও সজীব ও সুন্দর হয়ে উঠবে।