প্রতীকী ছবি।
সন্তানকে শিক্ষা দেওয়া জরুরি। কিন্তু কেমন শিক্ষা? শুধু বই পড়িয়ে বড় করলেই হবে তো?
সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে নানা কথাই মাথায় রাখতে হয় বাবা-মায়েদের। কত দিক দিয়ে তাদের যত্ন নেওয়া যায়, সে সব নিয়েই চিন্তায় থাকে বাবা –মায়েরা।
কিন্তু যত্ন নেওয়া মানে কি সন্তানের সব দায়িত্ব সামলানো?
এমন কিন্তু একেবারেই নয়। বরং ভাবতে হবে কী ভাবে নিজের দায়িত্ব নিতে শিখবে সন্তান। শৈশব থেকে অল্প অল্প করে তার জন্য প্রস্তুত করতে হবে তাকে। আর যখন সে কৈশোরে, তখন বোঝাতে হবে আগামীর কথাও।
কৈশোরে কয়েকটি পাঠ পাওয়া খুব জরুরি। যাতে পরবর্তী সময়ে বাইরে পড়তে কিংবা কাজে গিয়ে কখনও সঙ্কটে না পড়ে সন্তান।
কোন কাজ শেখাবেন কিশোর-কিশোরীদের?
প্রতীকী ছবি।
১) রান্না: এ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নিজের রান্না যাতে করে নিতে পারে শিশুটি, তা তো দেখতেই হবে। সেই কাজ করতে গিয়ে যাতে সমস্যায় না পড়তে হয় সন্তানকে, তা দেখে নেওয়া জরুরি। নিজের পছন্দের কয়েকটি খাবার যেন কিশোর বয়সেই বানানো শিখে নিতে পারে সন্তান। তা হলে আর পরবর্তীকালে সমস্যায় পড়তে হবে না কোথাও গিয়েই।
২) হিসাব: টাকা-পয়সার হিসাব রাখতেও সাধারণত শেখানো হয় না সন্তানকে। তাকে বড়দের জগতের কঠিন সব দিক থেকে সরিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন বাবা-মায়েরা। এ ভাবেই যত্নে থাকে শৈশব। কিন্তু কৈশোরে বাস্তবের সঙ্গে পরিচয় ঘটা প্রয়োজন। আয়-ব্যয়ের হিসাব খুবই জরুরি।
৩) ঘর গোছানো: নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা জরুরি কাজ। স্কুল শেষ করে শহরের বাইরের কলেজে পড়তে গেলেও তা জানা জরুরি। নিজের জামা-কাপড় কাচা, ভাঁজ করা থেকে শুরু করে বইপত্র জায়গা মতো রাখা। সবটাই অভ্যাসের বিষয়। বাড়িতেই তা শিখতে হয়।
৪) রোগীর যত্ন: অভিভাবকও অসুস্থ হতে পারেন। তাকে তখন দেখবে কে? সন্তানের কিছু কাজ শেখা প্রয়োজন। জ্বর এলে বাবা-মায়ের কী ভাবে দেখভাল করতে হবে, জানা দরকার। যাতে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সন্তান অসহায় বোধ না করে, সে কারণেই কিশোর-কিশোরীদের এ কাজ শিখিয়ে দেওয়া জরুরি।