পুরনো শাড়ির যত্নে কোন ভুলগুলি করবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
শাড়িপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় যে শাড়িগুলি শীর্ষে থাকে, তার মধ্যে কাঞ্জিভরম, বেনারসি, বালুচরি, তসর, জামদানি, কটন হ্যান্ডলুম অন্যতম। বিয়েবাড়ি হোক বা উৎসবের সাজ, সকালের কোনও অনুষ্ঠান হোক বা রাতের পার্টি— শাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানেই পরলেই অনন্য। ইদানীং ফ্যাশনে কিন্তু আবার পুরনো দিনের নকশা ‘ট্রেন্ডিং’। অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হাও বিয়ের দিন তাঁর মায়ের ৪০ বছর পুরনো চিকনকাড়ি শাড়ি পরেই নজর কেড়েছিলেন সবার। ব্লাউজ়ের কাটিং হোক কিংবা শাড়ির কারুকাজ, সবেতেই এখন পুরনো দিনের নকশা ফিরে আসছে। মা, দিদিমাদের শাড়িগুলি এখন আবার বাজারে উঠছে নতুন মোড়কে। ইচ্ছে করলেই আপনি নতুন শাড়ির পিছনে খরচ না করে আলমারিতে রাখা পুরনো শাড়িগুলিই কায়দা করে পরে ফেলতে পারেন। তার জন্য কিন্তু পুরনো শাড়িগুলিকে যত্নে রাখা জরুরি। জেনে নিন, কী ভাবে নেবেন মা, দিদিমাদের শাড়ির যত্ন?
১) সিল্কের শাড়ি কখনও আলমারিতে ঝুলিয়ে রাখবেন না। কোনও সুতির কাপড়ে কিংবা কাগজে মুড়ে, তার পরে আলমারিতে তুলুন শাড়িগুলি।
২) বর্ষায় সাধারণত তুলে রাখা কাপড়ে স্যাঁতসেঁতে ভাব চলে আসে। অনেকে শাড়ি রোদে দেন। তবে শাড়ির ক্ষেত্রে চড়া রোদ মোটেও ভাল নয়। মাঝেমাঝে আলমারি থেকে বার করে দিনের আলো-হাওয়ায় রাখলেই চলবে। ছায়া আছে, এমন জায়গায় শাড়ি মেলে দিতে পারেন। চড়া রোদে শাড়ি মেললে কিন্তু তার জেল্লা চলে যায়।
৩) পুরনো শাড়ি ভুলেও বার বার কাচতে দেবেন না। দু-তিন বার পরার পর ড্রাই ওয়াশ করাতে দিন। তবে তা-ও যত কম হয়, ততই ভাল। বেশি কাচলে শাড়ির ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়।
পুরনো শাড়ি ভুলেও বার বার কাচতে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) শাড়ি আলমারিতে তুলে রাখার সময় ন্যাপথলিনের বল রাখতে পারেন। তার চেয়েও ভাল হয় যদি শুকনো নিমপাতা রাখতে পারেন। অনেক সময় জুতোর বাক্সে কিছু সিলিকা জেলের প্যাকেট দেওয়া হয়। সেগুলি ফেলে না দিয়ে আলমারিতে রাখুন। বদ্ধ জায়গার আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করবে।
৫) যে সব শাড়িতে জরির কাজ আছে, সেগুলি উল্টো করে ভাঁজ করুন। জরি ভাল থাকবে। প্রতি ছ’মাস অন্তর শাড়ির ভাঁজ বদলান।