প্রতীকী ছবি।
অতিমারির সময়ে অনেককেই আর সশরীরে যেতে হচ্ছে না অফিস। বাড়ি থেকেই চলছে কাজ। কাউকে কাউকে আবার আগের মতোই যাতায়াত করতে হচ্ছে গণ-পরিবহণে। দুই ক্ষেত্রে টানা কাজ করার এক ক্লান্তি সপ্তাহের শেষে অবধারিত ভাবে শরীরকে কব্জা করে দেয়। এই ক্লান্তি কেবল শারীরিক নয়, মানসিকও। সারা সপ্তাহ ধরে দম ফেলার সুযোগ না পাওয়ার পর ইচ্ছা করে কাজ থেকে একটু বিচ্ছিন্নতা। শরীর চায় বিশ্রাম। তাই সপ্তাহান্তের ছুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কী ভাবে যত্ন নেবেন এই সময়ে নিজের শরীরের? আজ সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
১) কাজের চাপে প্রতিনিয়ত অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে সপ্তাহান্তে প্রবণতা হয় প্রায় সারা দিনই ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু মনে রাখবেন, সারা সপ্তাহের ঘুম কিন্তু এক বা দুই দিন বেশি ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় না। বরং এই দু' দিনের ঘুমের আধিক্য আপনার শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। চেষ্টা করুন গোটা সপ্তাহ জুড়েই কাজের ফাঁকে পর্যাপ্ত সময় ঘুমিয়ে নিতে।
২) কর্মক্ষেত্রে অনেক ক্ষণ কাটাতে হয় কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম হলে তো আরওই বেশি। ফোন-ল্যাপটপ ছেড়ে ওঠারই জো নেই। সপাতহান্তে সামাজিক মাধ্যম, মোবাইল, কম্পিউটার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। এর ফলে মানসিক ক্লান্তিও দূর হবে, অনেকটাই চাঙ্গা লাগবে আবার।
প্রতীকী ছবি।
৩) অতিমারির প্রকোপে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল বেড়াতে যাওয়া। তবে এখন ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আছে সুখবর। বেশ কিছু জায়গায় খুলেছে হোটেল বা হোম স্টে। কাছাকাছি কোথাও ঘুরেও আসতে পারেন সপ্তাহান্তে। শরীর ও মন, দুই-ই ভাল লাগবে।
৪) বাড়িতে বসেই আপনি করতে পারেন পেডিকিওর। গরম জলে সামান্য নুন দিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন মিনিট পনেরো। পা নরম আর ফ্রেশ লাগলে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। পছন্দের কোনও রঙের নেলপালিশও লাগাতে পারেন।
৫) এখন হাতের কাছেই আছে বিভিন্ন ধরনের নেল আর্টের সম্ভার। আপনার পছন্দের রং ও ডিজাইন বেছে সাজিয়ে ফেলুন নখ। দেখবেন, মন অনেক হালকা হয়ে গিয়েছে।