একটি সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে বলে নিজেকে সবের থেকে দূরে সরিয়ে নেবেন না। ফাইল চিত্র
সংসার এক বছরের হোক বা দশ বছরের, তা ভাঙার সময়ে মনের উপরে চাপ পড়েই। তবে একটি সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে বলে নিজেকে সবের থেকে দূরে সরিয়ে নেবেন না। খেয়াল রাখুন, এই ঘটনার প্রভাব যেন অন্য সব সম্পর্কে না পড়ে।
বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সবের আগে আসে সন্তানদের কথা। বাবা-মা একসঙ্গে থাকবেন না বলে যেন তাঁদের কোনও একজনকে বেছে নিতে না হয়। শিশুদের বাবা ও মা, দু’জনকেই প্রয়োজন। একটি সংসার ভেঙে দু’টি হলে, শিশুরা কোনও একটিতেই থাকবে। হয় মা, নয় বাবার সঙ্গে কাটবে তাদের বেশি সময়। তবে তার মানে যেন এমন না হয় যে, অন্য জনের কাছে যেতেই পারল না তারা।
বন্ধুবান্ধবের বিষয়টিও তেমন। দু’জন মানুষ একসঙ্গে থাকলে একে অপরের বন্ধুদের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ে ভাঙছে মানে প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীর বন্ধুর সঙ্গেও আর যোগাযোগ রাখবেন না? এর কোনও মানে নেই। এতে নিজের মানসিক চাপ বাড়ে। বরং এমন আচরণ করুন, যাতে পুরনো সব সম্পর্ক ভেঙে আসার প্রয়োজন না পড়ে।
শ্বশুরবা়ড়ির অনেকের সঙ্গেও নিশ্চয়ই এত দিনে ভাল যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল? তাঁদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ ত্যাগ করার দরকার নেই। বাড়ির বউমা বা জামাই না হয়েও কিছু সম্পর্ক রাখা যায়। যদি শ্বশুরবাড়ির কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করে, তবে মনে দ্বিধা রাখবেন না।