হাওড়ার ট্যাক্সিস্ট্যান্ড। —ফাইল চিত্র।
হাওড়ার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে দালালচক্র রুখতে আসরে নামল পুলিশ। পর পর দু'দিন হানা দিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দালালচক্র নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল। তার পর গত মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে হঠাৎই হানা দেন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, দালালচক্রে যুক্ত ব্যক্তিদের হাতেনাতে ধরতে ‘যাত্রী’ সেজে সেখানে যান দুই পুলিশ আধিকারিক।
ট্যাক্সি এবং ক্যাব পরিবহণে দালালচক্র রুখতে ‘যাত্রীসাথী’ অ্যাপ চালু করেছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ, সেই অ্যাপে নির্দিষ্ট একটি দূরত্বের জন্য যে ভাড়া নির্ধারিত রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা চাইছেন চালকদের একাংশ। অতিরিক্ত টাকার অঙ্কটা কখনও তিন-চার গুণ বেশিও হয়ে যায় বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার হাওড়া পুলিশের ডিসি (উত্তর) বিশপ সরকার এবং ডিসি (ট্র্যাফিক) সুজাতা কুমারী সাধারণ যাত্রী সেজে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে যান। নিজেদের দম্পতি বলে পরিচয় দেন তাঁরা। দু’জনে ডানকুনি যেতে চাইলে চালক ১৫০০ টাকা ভাড়া চান। অথচ হাওড়া থেকে ডানকুনির নির্ধারিত ট্যাক্সিভাড়া ৪০০ টাকা। এই গরমিল ধরা পড়তেই হাতেনাতে ওই চালককে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই অভিযান চালিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবারের পর শনিবারও অভিযান চলে। দ্বিতীয় দিনে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও মোট ধৃতের সংখ্যা ১৩। দালালচক্রে আর কে বা কারা যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।