বিলাসিতা করেও সাশ্রয় সম্ভব। ছবি: শাটারস্টক।
বাজারে এখন সব্জি হোক কিংবা মাছ-মাংস, যা-ই কিনতে যান না কেন, পকেট একেবারে খালি হয়ে যায়। তার উপর ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, সংসারের অন্যান্য খরচ, ওষুধের চড়া দাম, যাতায়াত, ইএমআই— খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে। বছরশেষে সাশ্রয় হচ্ছে কই? সংসার খরচের খাতায় কী ভাবে কাটছাঁট করবেন ভাবছেন? খরচ করার আগে কিন্তু সাশ্রয়ের কথা ভাবতে হবে। দেশের মতো সংসারও চালাতে হবে নির্দিষ্ট বাজেট মেনে। জেনে নিন, কী ভাবে আয়-ব্যয়ের হিসাব সামলে পর্যাপ্ত মাত্রায় সঞ্চয় করবেন।
১) খরচের হাত কমান। প্রতি মাসে আমরা অনেকেই অযথা কিছু খরচা করে ফেলি। প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে শিখতে হবে। অনলাইনে কিছু দেখলেই কিনে ফেলি, নতুন কোনও রেস্তরাঁ খুললেই সে দিকে ছুটি— সাশ্রয় করতে হলে এই সব অতিরিক্ত খরচে রাশ টানতে হবে।
২) বিনিয়োগে মন দিন। মাসে যেটুকু সাশ্রয় করছেন, সময় মতো সেই টাকা ঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে। তবে ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চটকদারি বিজ্ঞাপনে ভুলবেন না। ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে তার পরেই বিনিয়োগ করুন। প্রয়োজনে এই বিষয় অভিজ্ঞ কোনও ব্যক্তির পরামর্শ নিন।
খরচের হাত কমান।
৩) প্রতি মাসে খরচের একটি তালিকা তৈরি করে নিন। তালিকায় সামান্য বিলাসিতা থাকলে থাকুক। কিন্তু সেই বিলাসিতার জিনিসগুলোতেই যেন তালিকা ভরে না ওঠে। ঘরের জিনিস কেনার আগে কোথা থেকে কিনলে বেশি সাশ্রয় হচ্ছে, সে দিক বিচার করে তবেই কিনুন।
৪) মাসের শেষে দেখে নিন, কোন খাতে খরচ বেশি হয়েছে। পরের মাসে সেই খাতে খরচের উপর রাশ টানুন। মূল কথা, সাধ্যের মধ্যেই বেঁধে রাখুন সাধ।
৫) খুচরোকে অবহেলা ভুলেও নয়। লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনে সেখানে জমাতে শুরু করুন। সারা দিনে যেটুকু খুচরো বাঁচছে বা ফেরত পাচ্ছেন নানা ক্ষেত্র থেকে, বাড়ি ফিরে সেগুলি ভাঁড়ে ফেলে দিন। পরবর্তী সময়ে কাজে আসবে।