প্রতীকী ছবি।
রোবট এখন রান্নার ঝাল-নুন-টকও ঠিক আছে কি না বলে দেয়। অনেকে রোবটকে বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেন। তাতে ঝঞ্ঝাট কম মনে হয়। বিজ্ঞান এত দূর এগিয়েছে যে, অনেকেই মনে করেন আগামীতে মানুষের আরও বহু কাজ রোবট করে দেবে। ফলে ধীরে ধীরে একে অপরের জীবনে বহু মানুষের গুরুত্ব কমে যাবে। কিন্তু সত্যিই কি সব ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিতে পারবে রোবট?
বিজ্ঞানই বলছে, তেমনটা হওয়া সহজ নয়। অন্তত সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে সব সম্পর্কের গুরুত্ব হারাবে না রোবটের কারণে।
কোন তিন ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিতে পারবে না রোবট?
১) সহমর্মিতা: সহমর্মিতা অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যেই দেখা যায় না। একে অপরের সমস্যা তাঁর জায়গায় পৌঁছে সকলের মন বুঝতে পারেন না। কেউ কেউ বলে থাকেন, মানুষের থেকে অন্য প্রাণীর মধ্যে সহমর্মিতা বেশি দেখা যায়। তা যদি বা ঠিকও হয়, তাই বলে রোবট মানুষের থেকে বেশি সহমর্মী হতে পারবে না। কারণ, কোনও কিছু বোঝার জন্য কোডের উপর নির্ভর করে রোবট। সহমর্মিতা কোড-নির্ভর করা সম্ভব নয়।
২) সৃজনশীলতা: সে ব্যক্তিই সৃজনশীল, যিনি নতুন কিছু তৈরি করতে পারেন। রোবট কিছু প্রোগ্রামড সফ্টওয়্যারের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু তার উপর নির্ভর করে নতুন কিছু তৈরি করা সম্ভব নয়। রোবটকে যা শেখানো হয়, শুধু তা-ই করতে পারে। নতুন কিছু পারে না।
৩) সমস্যার সমাধান: মানুষের বহু কাজ সহজ করে দিতে পারে রোবট। শারীরিক শ্রম কমতে পারে তার ফলে। কিন্তু তাই বলে কি মাথার কাজ কমবে? এখনও তেমন কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। ফলে ভেবে ভেবে অন্যের সমস্যার কোনও সমাধান করা এখনও রোবটের কাজ নয়। নতুন সমস্যা হলে তা রোবট কী করে সমাধান করবে। রোবট সেটুকুই পারে, যা তাকে শেখানো হয়।