—প্রতীকী ছবি।
বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরবেই। তবে সকলে পাক ধরা চুল নিয়ে জনসমক্ষে আসতে পারেন না। অস্বস্তি বোধ করেন। এদিকে রাসায়নিক দেওয়া রং দিয়েও চুল, মাথার ত্বকের ক্ষতি করতে চান না। তাই সপ্তাহে এক বার মেহন্দি করেন। আগের দিন রাত থেকে চায়ের লিকারে ভিজিয়ে লোহার পাত্রে রেখে দেন। তাতে রং ভাল আসে। পরের দিন শ্যাম্পু করা চুলে মেহন্দি মেখেও রাখেন ঘণ্টা দুয়েক। তাতে পাকা চুলে বেশ ভালই রং ধরে। কিন্তু মুশকিল হল, চুলের সঙ্গে সঙ্গে হাতে, নখের কোণে কোণে মেহন্দির রং ধরে থাকে বেশ কয়েক দিন। প্রতি বার ভাবেন মেহন্দি করার আগে হাতে গ্লাভ্স পরে নেবেন। কিন্তু কাজের সময়ে ঠিক ভুলে যান। নখের রং না হয় নেলপলিশ দিয়ে ঢেকে নিলেন। কিন্তু হাতের পাতার রং তুলবেন কী করে?
ত্বক এবং চুলের সমস্যায় দারুণ কাজ করে নারকেল তেল। ছবি: সংগৃহীত।
১) নারকেল তেল
ত্বক এবং চুলের সমস্যায় দারুণ কাজ করে নারকেল তেল। শুধু তা-ই নয়, বর্ষাকালে জানলা-দরজার কব্জায় মরচে ধরে গেলেও নারকেল তেলের ফোঁটা দেন অনেকে। কিন্তু হাত থেকে মেহন্দির রং তুলতেও যে নারকেল তেল একই ভাবে কাজ করে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। মেহন্দি করার পর জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিয়ে নারকেল তেল মেখে রাখুন কিছু ক্ষণ। তার পর ঈষদুষ্ণ জল এবং সাবান দিয়ে হাত-নখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
২) লেবুর রস
হাতে মেহন্দির রং গাঢ় করতে অনেকেই চিনি এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মাখেন। কিন্তু শুধু লেবুর রস মাখলে মেহন্দির রং উঠে যায়। হাত থেকে মেহন্দির দাগ তুলতে পাতিলেবুর রস দুই হাতে ভাল করে মেখে রাখুন কিছু ক্ষণ। ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খসখসে হাত থেকেও মেহন্দির গাঢ় রং উঠে যাবে সহজেই।
৩) বেকিং সোডা
২ টেবিল চামচ জলে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। সেই মিশ্রণটি হাত-নখে মেখে রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ। নতুন একটি টুথব্রাশের সাহায্যে নখ হালকা করে ঘষে নিতে পারেন। এই সব উপাদান হাতে বেশি ক্ষণ মেখে রাখলেও ত্বকের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।