হলুদ গোলা জল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে ঠাকুরমার পোষা চন্দনাকে প্রায়শই হলুদ গোলা জলে স্নান করাতেন ছোটবেলায়। একটু বড় হতেই মুখে ব্রণের দাপট শুরু হল। তখন নিম-হলুদ বেটে মুখে মাখতেন নিয়মিত। জ্বর-সর্দি ঠান্ডা লাগার হাত থেকে মুক্তি পেতে দুধে এক চিমটে হলুদের গুঁড়ো দিয়েও খেয়েছেন কয়েক বার। কিন্তু কখনও জলে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খাননি। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীর থেকে খারাপ টক্সিন দূর করতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদানে ভরপুর এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস দিয়ে মধু তো খেয়েই থাকেন। কিন্তু হলুদ গোলা জল খেলে কী হয়?
হলুদ গোলা জল ত্বকের জন্য মহৌষধ। ছবি: সংগৃহীত।
১) ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে
হলুদ গোলা জল ত্বকের জন্য মহৌষধ। হলুদের মধ্যে বিশেষ এক প্রকার তেল রয়েছে, যা নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো জেল্লা সহজেই ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি, ত্বকের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে হলুদ।
২) ব্রণ, কালচে দাগ দূর করে
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। ফলে ব্রণ থেকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, মুখে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবে শুধু বয়স নয়, ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকেও ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। হলুদ মেশানো জল এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
৪) সেবাম নিয়ন্ত্রণ করে
তৈলাক্ত ত্বকের মূল সমস্যা হল সেবাম। সারা ক্ষণ ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল ক্ষরণ থাকলে মুখের ছোট ছোট ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে র্যাশ, ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই সেবামের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে হলুদের জল।
৫) ক্ষত নিরাময় করে
ত্বকে কোনও প্রকার ক্ষত হলে তা নিরাময়ে অব্যর্থ হল হলুদের জল। ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল কোলাজেন। শরীরে স্বাভাবিক ভাবে কোলাজেন উৎপাদন করতে পারে হলুদ মেশানো জল। ফলে দ্রুত ক্ষত ভরাট হয়ে যায়।