করিনা কপূর খানের গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যোগ ব্যায়াম। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
পরপর দুই তারকা সন্তানের জন্ম ঘিরে হইচই চলছে। করিনা কপূর মা হলেন দ্বিতীয় বার। ক’দিন আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন অনুষ্কা শর্মা। প্রতি বার তারকাদের সন্তানের জন্মের পরে ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়লেই তাঁদের ফিটনেস দেখে অবাক হন সকলে। কী ভাবে সন্তানের জন্মের এক-দু’দিনের মধ্যে ও রকম তরতাজা দেখায় এই তারকা মায়েদের? কী করে হেঁটে-চলে বেড়িয়ে অত সহজে সন্তান কোলে ছবি তোলেন তাঁরা? চোখের তলায় কালি থাকে না তো? মুখে-চোখে দেখা দেয় না তো কোনও ধকলের চিহ্ন। নিজেকে এমনটা রাখা কিন্তু খুব কঠিন নয়। আপনিও পারেন।
কী ভাবে? গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন তিনটি যোগ ব্যায়াম অভ্যাস করুন। শরীর থাকবে চনমনে। আর সন্তান জন্মের ঠিক পরের মুহূর্তের ছবিগুলোও হবে সুন্দর। এই সময়ে পিঠে কিংবা কোমরে ব্যথা যদি হয়, তার থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এই ক’টি ব্যায়াম করে।
মার্জারি আসন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মার্জারি আসন
এই আসন করলে টান পরে কাঁধ এবং ঘাড়ে। ওই দুই জায়গায় ব্যথা ভাব থাকলে, আরাম মিলবে আসনটি করে। শিরদাঁড়াও থাকবে নমনীয়। এই সময়ে অনেকটা বেশি ওজন সামলাতে হয় শরীরের। ফলে কোমর ও পিঠে চাপ বাড়ে। মার্জারি আসন সেই জায়গাগুলোয় আরাম দেয়। তারই সঙ্গে পেটের পেশিকে দৃঢ় এবং স্থিতিস্থাপক করে। রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক হয়।
ত্রিকোণ আসন ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ত্রিকোণ আসন
গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেয়। রোজ ত্রিকোণ আসন করতে পারলে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব। মানসিক চাপ কমবে। আর নিয়মিত পা ছড়িয়ে এই আসন করতে পারলে শরীরের নিম্নাঙ্গ অনেকটা নমনীয় থাকে। প্রসবের সময়ে তা অনেকটাই সাহায্য করবে।
যোগ নিদ্রা ছবি: ইনস্টাগ্রাম
যোগ নিদ্রা
অনেকেরই মনে হতে পারে, এটা আসন নয়। কিন্তু শুধু হাত-পা নাড়িয়েই আসন হবে, এমনও নয়। টানটান হয়ে শুইয়ে ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি পর্যায় পৌঁছনো সহজ কাজ নয়। তবে করতে পারলে অনেকটাই উপকার। এই সময়ে শারীরের যেমন যত্ন প্রয়োজন, তেমনই দরকার মনের। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে যোগ নিদ্রা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীর ও মনকে স্থির হতে দেয়। তারই মাধ্যমে মানসিক চাঞ্চল্য কমায় এই আসন।
গর্ভাবস্থায় এই আসনগুলি করতে থাকলে, শরীর-মন ভাল থাকে। প্রসবের সময়ে শারীরিক কষ্ট খানিক কম হয়। ফলে সন্তানের জন্মের ধকলের ছাপ পরবর্তীকালে কম থাকে মায়ের চেহারায়। সন্তান জন্মের পরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতেও সুবিধে হয়।