ছবি: সংগৃহীত
‘নতুন বছর নিয়ে অত হইচই করার কিছু নেই। যখনই কোনও নতুন বছর এসেছে, এক বছরের বেশি টেকেনি' শিবরাম চক্রবর্তীর এই বিখ্যাত উক্তি কোথাও গিয়ে মানুষকে যেন একটা আলাদা শক্তি জোগায়। বছর শেষের সন্ধ্যা মানে এক বছরের ভাল-মন্দ, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির ভর্তি অথবা শূন্য ভাঁড়ার নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এ বছর শেষ হতে শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের এই প্রাক মুহূর্তে ঠিক করে নিন কোনগুলি সঙ্গে নিয়ে যাবেন না। নতুন বছর হোক একেবারে নতুন।
নতুন বছরে খারাপ স্মৃতিতে নয়, ভাল মুহূর্তে বাঁচুন
এ বছরের সব অপ্রিয় স্মৃতিগুলিকে এক জায়গায় ডাঁই করে রাখুন। সেগুলি থেকে শিক্ষা নিন। কিন্তু সেইগুলি আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। সুখস্মৃতিগুলি নিয়ে সামনের দিকে এগোন।
ছবি: সংগৃহীত
কোনও কাজ অসমাপ্ত রাখবেন না
বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রের কাজ বাদ দিয়েও অন্য কোনও কাজ বাকি থেকে যাচ্ছে না তো? এই ধরুন কারও কাছে ক্ষমা চাইতে হত, বা কাউকে খানিক শায়েস্তা করতে হত কিংবা ভালবাসার কথা জানাতে হত- পরের বছরের অপেক্ষায় ফেলে না রেখে এখুনি সেরে ফেলুন এগুলি।
পিছুটান নৈব নৈব চ
পিছুটান যেমন সম্পর্কে বেঁধে রাখে আবার কিছু পিছুটান সামনের দিকে এগোতে বাঁধা দেয়। এই রকম পিছুটান নিয়ে অন্তত নতুন বছরে না যাওয়াই ভাল। যা গিয়েছে তা যাক।
নিজের মূল্যায়ন নিজে করুন
বছরভর নিজের সঙ্গে অথবা অন্য কারও প্রতি যদি কোনও ভুল বা অন্যায় করে থাকেন, বছরের শেষলগ্নে এসে তা অন্তত এক বার মনে করুন। আপশোস করতে পারেন। দেখবেন হাল্কা লাগছে অনেক।
ভুল থেকে শিক্ষা নিন
এই বছরের করা ভুলগুলির পুনরাবৃত্তি যাতে সামনের বছর না ঘটে সে দিকে সদা সতর্ক থাকুন। নিজেকে বোঝান।
মানসিক ভাবে শক্ত হতে শিখুন
মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়াটা আজকালকার যুগে খুবই দরকার। এ বছর যা করেছেন, করেছেন। মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে যান। জানবেন আপনার মনের খেয়াল আপনি ছাড়া আর কেউ রাখতে পারবে না।