ট্যাটু তুলতেও কি ব্যথা হয়? ছবি: সংগৃহীত।
ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। কেউ ঘাড়ে, হাতে বা বাহুতে বিভিন্ন নকশার ট্যাটু করাচ্ছেন, কেউ আবার গোটা শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করে ফেলছেন ধীরে ধীরে। তরুণ-তরুণীদের কেউ কেউ তাঁদের প্রেমিক-প্রেমিকার নামও সুন্দর করে লিখিয়ে রাখছেন মনের গোপন ঠিকানায়। এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁদের প্রেম না টিকলেও শরীরে রয়ে গিয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকের নাম। অগত্যা সেই ট্যাটু মুছে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। ইদানীং উন্নত ধরনের লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে ট্যাটু তুলে ফেলা সম্ভব। তবে এই কাজ কিন্তু খুব একটা সহজ নয়। ট্যাটু তোলার আগে কী কী মাথায় রাখতেই হবে, রইল তার হদিস।
১) ট্যাটু করাতে যতটা ব্যথা হয়, তোলার ক্ষেত্রে কিন্তু আরও বেশি যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। বিশেষত শরীরের কোমল জায়গাগুলিতে করা ট্যাটু তুলতে ব্যথা আরও বেশি হয়। তাই সেই জায়গায় অ্যানাস্থেশিয়া করিয়ে ট্যাটু তোলাই শ্রেয়।
২) এক দিনে যাবেন আর ট্যাটু তুলে বাড়ি চলে আসবেন— ব্যাপারটা ততটাও সহজ নয়। ট্যাটু তুলতে প্রায় ৮ থেকে ১০টি সেশন লাগে। ট্যাটু কত বড়, তাতে রঙের ব্যবহার আছে কি না— এই সবের উপর নির্ভর করে, তা তুলতে ঠিক কতটা সময় লাগবে।
৩) লেজ়ার সাহায্যে ট্যাটু সম্পূর্ণ উঠে যাবে এই ধারণা ঠিক নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে দাগ থেকে যায়।
ট্যাটু তোলার পরেও চাই ঠিকমতো পরিচর্যা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ট্যাটু তোলার পরেও চাই ঠিকমতো পরিচর্যা। না হলে সেই ক্ষতস্থানে অ্যালার্জি, র্যাশ, জ্বালা, লালচে ভাব দেখা যায়। তাই যেখান থেকে ট্যাটু তুলছেন সেখান থেকে বিস্তারিত পরিচর্যার বিষয়টি জেনে নিতে হবে।
৫) ট্যাটু করতে যেমন খরচ, ট্যাটু তুলতে তার থেকেও বেশি পয়সা খসে। তাই খরচের দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।