তিন থেকে বারো বছর বয়স শিশুদের বেড়ে ওঠার আদর্শ সময়।
সন্তানের বাড়ন্ত বয়সে অনেকেই নির্ভর করেন বাজারজাত হেলথ ড্রিঙ্কসের উপর। সময়ের অভাবে টাটকা ফলের রস না দিয়ে বাজার থেকে কিনে আনছেন টেট্রা প্যাকের ফ্রুট জুস। ভাবছেন, পুষিয়ে দিচ্ছেনঅনেকটাই পুষ্টিগুণ। তবে এই সব বাজারজাত হেলথ ড্রিঙ্ক আদৌ কি কাজ করছে আপনার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে?
তিন থেকে বারো বছর বয়স শিশুদের বেড়ে ওঠার আদর্শ সমময়।সব অভিভাবকই চান তাঁর সন্তান যেন পুষ্টি-বৃদ্ধির সবটুকু উপকরণ পায়। উচ্চতার ক্ষেত্রে সঠিক খাওয়াদাওয়ার গুরুত্ব একই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত উচ্চতা বাড়ে। আর সেই সময়টায় আপনার সন্তান ঠিক কী খাচ্ছে আর কতটা খাচ্ছে, সেই খাবারের পুষ্টিগুণ আদৌ কতখানি সেটুকু নজররাখা জরুরি।
ছেলেদের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে উচ্চতা বৃদ্ধি ২১ বছর বয়সের পর আর হয় না। এমন অনেক খাবার আছে যা শরীরের গঠন আর উচ্চতা বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে। তাই ভরসা রাখুন শাক, সব্জি, ফলের উপর। দেখে নিন, আপনার সন্তানের রোজকার ডায়েটে এই খাবারগুলি রেখেছেন তো?
আরও পড়ুন: একা একা খান আর হয়ে যান টানটান ছিপছিপে, বলছে গবেষণা
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে
পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার আর মিনারেল, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেয সহায়ক। তবে অনেক শিশুরাই পালং শাক খেতে চান না। তাদের পাতে পালং শাকের ঘন্টের পরিবর্তে দিন পালং পনির কিংবা পালং কর্নের সব্জি।
ঢ্যাঁড়স: ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, জল ও ফাইবার-যুক্ত ঢ্যাঁড়স মানবশরীরে গ্রোথ হরমনের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে।তাই রোজের ডায়েটে ঢ্যাঁড়স রাখুন।
মটরশুঁটি: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, লুটেন ও প্রোটিন আছে, যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক। ফ্রায়েড রাইস থেকে মুগের ডাল, সুযোগ পেলেই রান্নায় যোগ করুন মটরশুঁটি।
মটরশুঁটি উচ্চতা বাড়াতে বিশেষ সহায়ক
শালগম: শালগম আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।শালগমে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন, এবং ফ্যাট। এই উপাদানগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আরও পড়ুন: সংক্রামক করোনাভাইরাস নিয়ে প্রশ্নগুলির উত্তর জানেন কি? নইলে এখনই সাবধান হোন!
বাঁধাকপি:এই সব্জিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার আছে। যা উচ্চতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ক্যানসার প্রতিরোধেও করে থাকে। চাইনিজ থেকে বাঙালি সব প্রদেশের রান্নায় বাঁধাকপির ব্যবহার করতেই পারেন।
ব্রকোলি: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চাইলে ডায়েটে রাখতেই হবে ব্রকোলি। সন্তানের টিফিনে চাউমিন কিংবা স্যান্ডউইচঅথবাস্যুপে দিন এই সব্জি।
সয়াবিন: শিশুদের কাছে দারুণ প্রিয় সয়াবিন। সয়াবিনের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এই প্রোটিন শরীরে টিস্যু ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডায়েটে সয়াবিন রাখলেতা খুদের উচ্চতাবৃদ্ধিতেঅনেকটাইসাহায্য করবে।