এমন ফল খাওয়া জরুরি, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। ফাইল চিত্র
গরম মানেই শরীর চাইবে বেশি জল। তরল পদার্থ যেমন খেতে হবে বারবার, তেমন খাবারেও থাকতে হবে যথেষ্ট পরিমাণ জল। তবেই শরীর ঠান্ডা থাকবে। এ সময়ে ভাজাভুজি এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কম তেল-মশলা দেওয়া রান্নার দিকে মন দিতে হয়। সঙ্গে স্বাস্থ্যরক্ষা করতে খাওয়া যায় বেশি করে ফল। যে সব ফলে জলের পরিমাণ বেশি, তেমন জিনিসই বেছে নেওয়া ভাল এ সময়ে। তবে এই বারের গরম তো সেই পুরনো দিনের মতো নয়। অতিমারির মধ্যে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে যে খাবার সাহায্য করবে, তেমন জিনিসই বাছা জরুরি।
কোন কোন ফল খাওয়া বেশি প্রয়োজনীয় এ বারের গরমে? অতিমারির মধ্যে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে এবং শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মিত খাওয়া যায় এই তিনটি ফল।
তরমুজ
এই ফলের প্রায় ৯০ শতাংশ হল জল। অর্থাৎ, শরীরে জলের জোগান দিতে যথেষ্ট পরিমাণে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা করোনার সময়ে আরও বেশি করে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তা ছাড়া, ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই ফল ভাল।
আনারস
এই ফলে জলের মাত্রা ৮৬ শতাংশের কাছাকাছি। টক-মিষ্টি স্বাদের এই খাদ্যের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরমাণ ভিটামিন সি। অতিমারি থেকে বাঁচতে যখন চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন ভিটামিন সি খাওয়ার, তখন আনারসের খাদ্যগুণ বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখা যেতে পারে।
শসা
জলের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। কখনও ফল হিসেবে কাঁচা খাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ শসা দিয়ে নানা পদ রান্নাও করে ফেলেন। এই সময়ে শসার মতো খাবার কমই আছে। শরীর ঠান্ডা রাখে। পেট ভর্তি করে। এ ছাড়াও শসার আর একটি গুণ হল ত্বকের যত্ন নেওয়া। মাস্ক পরে থেকে যখন অস্বস্তি হচ্ছে, শসা তখন ত্বকে ঠান্ডা ভাব আনে।