উৎসব শেষেও চনমনে থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব মানেই অনিয়ম আর হুল্লোড়। রাত জাগা, রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া, সময়মতো না খাওয়া— উদ্যাপনের অবিচ্ছদ্য অনুষঙ্গ এগুলিই। পুজোর দিনগুলিতে চুটিয়ে মজা করে পুরনো ছন্দে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন অনেকেই। পুজো শেষ হলেও উৎসবের রেশ রয়ে গিয়েছে। উদ্যাপনেরও একটা ক্লান্তি থাকে। উৎসবের পর সেই ক্লান্তি যেন জাঁকিয়ে বসে শরীরে। সেই ক্লান্তি কাটিয়ে উঠে দ্রুত চাঙ্গা হতে সাহায্য করবে কোন পানীয়গুলি?
কাঠবাদাম
সকালে খালি পেটে অনেকেই কাঠবাদাম খান। এই অভ্যাস বজায় রাখুন পুজোর পরেও। শরীরের জন্য কাঠবাদাম অত্যন্ত ভাল। ক্লান্তি কাটাতেও এর জুড়ি নেই। তা ছাড়া কাঠবাদামে থাকা প্রোটিন, ফাইবার এবং স্নেহ পদার্থ শরীরকে চনমনে করে দেয় অল্প সময়েই।
তরমুজ
তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই জল। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে পারে এই ফল। সকালে অন্য খাবারের পরে অল্প তরমুজ খেলে ক্লান্তি কেটে যাবে সহজেই। শরীরও চাঙ্গা হবে দ্রুত।
খেজুর
পেট পরিষ্কার করতে খেজুরের জুড়ি নেই। সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন। উপকার পাবেন চা-কফির থেকে কোনও অংশে কম নয় এই ফল। চা-কফির চেয়ে অনেক বেশি শরীরকে চাঙ্গা রাখে খেজুর। টুকটাক খিদে মেটাতেও খেতে পারেন খেজুর।
দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
ডিম
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে ডিমে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও আছে ডিমে। দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ডিম খেলে সহজে দীর্ঘ ক্ষণ খিদে পায় না। আর শরীরে ক্লান্তিও থাকে না।
কলা
হঠাৎ মাথা ঘুরছে? ক্লান্ত লাগছে? এই পরিস্থিতিতে কলা খেলে ক্লান্তি কাটবে দ্রুত। কলায় থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার আর শর্করা শরীরে প্রচুর শক্তি জোগায়। কলা খেলে দ্রুত ক্লান্তি চলে যায়।