রোগ ঠেকাতে শিবির

বাঁকুড়ার সিমলাপালের গ্রামে ছড়িয়ে পড়া চর্মরোগকে প্রাথমিক ভাবে অ্যানথ্রাক্স বলেই অনুমান করছে স্বাস্থ্য দফতর। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে রোগীর রক্ত ও শরীরের সংক্রমিত জায়গার চামড়ার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির চলছে। এবং গবাদি পশুর দুধ পানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিমলাপাল শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৫ ০২:০৭
Share:

বাঁকুড়ার সিমলাপালের গ্রামে ছড়িয়ে পড়া চর্মরোগকে প্রাথমিক ভাবে অ্যানথ্রাক্স বলেই অনুমান করছে স্বাস্থ্য দফতর। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে রোগীর রক্ত ও শরীরের সংক্রমিত জায়গার চামড়ার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির চলছে। এবং গবাদি পশুর দুধ পানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে গ্রামে।

Advertisement

জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (৩) সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, রোগটি অ্যানথ্রাক্স। পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্য নিশ্চিত ভাবে তা বলতে পারছি না। তবে, ওই গ্রামে গবাদি পশুর দুধ খেতে নিষেধ করা হয়েছে বাসিন্দাদের।” গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সিমলাপাল ব্লকের মণ্ডলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম বামুনপাথরি, রমাপন্ডা ও বড়খুল্যায় এক বিশেষ ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। ইতিমধ্যেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ মান্ডি বলেন, “রোগ ছড়ানোর কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে মরা যাওয়া একটি গবাদি পশুর মাংস খেয়েছিল গ্রামবাসীরা। তার পর থেকেই কয়েক জনের মধ্যে চর্মরোগ দেখা দেয়। পরে পরে সেই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের ৩৫ জন অসুস্থ হয়েছেন। রোগের কথা জানাজানি হতে শনিবার থেকেই গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির চালু করা হয়েছে। শরীরের নানা জায়গায় ফোস্কা হচ্ছে গ্রামবাসীদের। সুবর্ণবাবু বলেন, “নতূন করে কেউ আর আক্রান্ত হচ্ছেন না। হাসপাতালেও এই মুহূর্তে কেউ ভর্তি নেই। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।’’ গ্রামে সচেতনতা শিবির নিয়মিত চলবে বলেও তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement