প্রতি বছরই পাল্টে যায় গোঁফের ফ্যাশন। প্রতি বছরই কোনও না কোনও গোঁফ প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলে দেয় অন্য গোঁফেদের।
গত ৪০ বছর ধরে প্রত্যেক বছর সারা পৃথিবী জুড়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন কোন গোঁফ অনুকরণ করেছেন, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে এক ফ্যাশন পত্রিকা। সমীক্ষার ফল রইল এখানে।
১৯৮০: ছোটপর্দা এবং বড়পর্দার তারকা বার্ট রেনল্ডসের গোঁফ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল সে বছর।
১৯৮১: সে বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছিল গায়ক প্রিন্সের গোঁফ।
১৯৮২: বেসবল খেলোয়াড় রোলি ফিংগারসের গোঁফ নজর কেড়েছিল সারা পৃথিবীর।
১৯৮৩: অভিনেতা এডি মারফির গোঁফ সে বছর নজর কেড়েছিল সকলের। তাঁর গোঁফের অনুপ্রেরণায় অনেকে গোঁফ রাখতে শুরু করেন সে বছর।
১৯৮৪: ‘কুইন’-এর গায়ক ফ্রেডি মার্কারির বিখ্যাত গোঁফ সে বছরের সেরা।
১৯৮৫: অভিনেতা টম সেলেকের গোঁফ আটের দশকের ‘সিগনেচার গোঁফ’ হিসেবে বিখ্যাত।
১৯৮৬: গায়ক সনি বোনোর গোঁফ আমেরিকা এবং ইউরোপে বিপুল জনপ্রিয় হয়।
১৯৮৭: ছোটপর্দার তারকা জেরাল্ডো রিভেরার গোঁফ নকল করে গোঁফ রাখতে শুরু করেন পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ।
১৯৮৮: মোটা গোঁফের দিন শেষ। অভিনেতা জন ওয়াটার্সের সূত্রে গোঁফের ফ্যাশনে পাকা জায়গা করে নিল পেন্সিলের মতো সরু গোঁফ।
১৯৮৯: বেসবল খেলোয়াড় গুজ গুসেজের সূত্রে জায়গা করে নিল ঝোলা গোঁফ। সারা পৃথিবীর বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব তাঁর অনুকরণে এমন গোঁফ রাখেন।
১৯৯০: গায়ক লায়োনেল রিচির গোঁফ নিঃসন্দেহে সে বছরের সেরা।
১৯৯১: ছোটপর্দার আরও এক তারকা জেমস ফক্সওয়ার্দির গোঁফ জায়গা পেয়েছে সে বছরের সেরার আসনে।
১৯৯২: ছোট পর্দায় এল ‘দ্য ফ্রেশ প্রিন্স অব বেল-এয়ার’। একই সঙ্গে জনপ্রিয় হল উইল স্মিথের পাতলা গোঁফ।
১৯৯৩: সে বছর সকলের নজর বেসবল খেলোয়াড় র্যান্ডি জনসনের খোঁচাখোঁচা গোঁফে।
১৯৯৪: গায়ক অভিনেতা এলএল কুল জে-র গোঁফ সে বছরের সেরা।
১৯৯৫: গ্রিসের সঙ্গীতশিল্পী ইয়ানির গোঁফ সে বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোঁফ।
১৯৯৬: নয়ের দশকের মাঝামাঝি সকলের নজর কেড়ে নিল হ্যারিসন ফোর্ডের মোটা গোঁফ।
১৯৯৭: খেলা বা বিনোদনের জগত থেকে নন, সে বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোঁফটি রাজনীতির জগত থেকে। ব্রিটিশ নেতা জর্জ গ্যালোওয়ের।
১৯৯৮: সে বছর মুক্তি পেল জনপ্রিয় সিনেমা ‘রাশমোর’। ছবিতে অভিনেতা বিল মারের গোঁফ গোটা বছর জুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রইল।
১৯৯৯: মানবাধিকার কর্মী আল শার্পটনের গোঁফ সংবাদমাধ্যমের সূত্রে সারা পৃথিবীর নজর কাড়ল।
২০০০: ছোটপর্দার পরিচিত মুখ জন স্টোসেলের গোঁফ সে বছরের সেরা।
২০০১: নতুন শতাব্দীর গোড়াতেই নজর কাড়ল অভিনেতা শন পেনের গোঁফ।
২০০২: ছোটপর্দার আরও এক জনপ্রিয় মুখ। ডক্টর ফিল। মাথা কামানো, তার সঙ্গে মোটা গোঁফ। সে বছরের সেরা।
২০০৩: ডাব্লিউডাব্লিউই-র তারকা হাল্ক হোগানের জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ তাঁর গোঁফ। সে বছরের জনপ্রিয়তার শীর্ষে এটি।
২০০৪: ‘অ্যাংকরম্যান’ ছবির সূত্রে সে বছর সকলের নজরে অভিনেতা উইল ফ্যারেলের গোঁফ।
২০০৫: ছোটপর্দার জনপ্রিয় শো ‘ মাই নেম ইজ আর্ল’। প্রধান অভিনেতা জেসন লি-র গোঁফ সে বছরের সেরা।
২০০৬: সাশা ব্যারন কোহেন অভিনীত ‘বোরাট’ সে বছরের সবচেয়ে বিখ্যাত সিনেমাগুলির একটি। একই সঙ্গে সে বছরের সেরা গোঁফ অভিনেতা সাশা ব্যারনের।
২০০৭: অভিনেতা স্যাম এলিয়ট বহু বছর ধরেই একই গোঁফ নিয়ে অভিনয় করে চলেছেন। কিন্তু কোনও এক আজানা কারণে সে বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় তাঁর গোঁফ।
২০০৮: ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস’ ছবির কারণে বছরের সেরা গোঁফ ব্র্যাড পিটের।
২০০৯: ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’ নামের শো ছোটপর্দায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিল। জনপ্রিয়তার বড় কারণ অভিনেতা নিক অফারম্যান এবং তাঁর গোঁফ।
২০১০: জনপ্রিয় সঞ্চালক স্টিভ হার্ভের গোঁফ সে বছরের সেরা।
২০১১: ‘শেমলেস’ নামক সিরিজের জন্য মোটা গোঁফ রাখেন অভিনেতা উইলিয়াম এইচ মেসি। সে বছরই সেরা গোঁফের তালিকার উপরে উঠে আসে এটি।
২০১২: ‘সেভিং মিস্টার ব্যাঙ্কস’ ছবির দৌলতে অভিনেতা টম হ্যাঙ্কসের গোঁফ সে বছরের সেরা।
২০১৩: ‘আয়রন ম্যান’, ‘অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজ— বলার অপেক্ষা রাখে না সেরা গোঁফের মালিক কে। রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।
২০১৪: গায়ক চান্স দ্য র্যাপার এই বছর প্রকাশ করেন তাঁর অ্যালবাম ‘অ্যাসিড র্যাপ’। গানের চেয়েও বেশি গোঁফের জন্য জনপ্রিয় হন তিনি।
২০১৫: মুক্তি পায় ‘রকি’ সিরিজের নতুন ছবি ‘ক্রিড’। ছবির দৌলতে জনপ্রিয় হয় অভিনেতা মাইকেল বি জর্ডনের গোঁফ।
২০১৬: ‘দিস ইজ আস’ ওয়েবসিরিজের জন্য অভিনেতা মিলো ভেন্তিমিলিয়ার গোঁফ সারা পৃথিবীর নজর কাড়ে সে বছর।
২০১৭: কোনও ছবির জন্য নয়, মুখের শিশুসুলভ ভাব কাটাতে গোঁফ রাখেন অভিনেতা জাক এফ্রন। কিন্তু সেটাই হয়ে দাঁড়ায় বছরের সেরা।
২০১৮: ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ তাঁকে যতটা জনপ্রিয়তা দিয়েছে, ‘লবি হিরো’ তার শিকিভাগও দেয়নি। কিন্তু এই ছবি সে বছর ক্রিস ইভান্সের গোঁফকে দিয়েছে বছরের সেরার স্বীকৃতি।
২০১৯: শেষ ‘গেম অব থ্রোনস’। কিন্তু তার পরেও বছরের সেরা সিরিজের মুখ্য অভিনেতা কিট হ্যারিংটনের গোঁফ।