নিশাতের প্রকাশিত প্রায় সব ক'টি ছবিই রুলটানা কাগজের উপর পেন্সিল দিয়ে আঁকা। ছবি-প্রতীকী
শিক্ষার সঙ্গে শিল্পের যোগ নিবিড়। তাই পড়াশোনার আরম্ভ থেকেই সেই যোগাযোগটি শেখানো দরকার খুদেদের। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের এক স্কুল শিক্ষিকা সেই লক্ষ্যেই ক্লাস ওয়ানের পড়ুয়াদের বলেছিলেন তাঁর ছবি আঁকতে। খুদেরা খাতার পাতাতেই আঁকে দিদিমণির ছবি। শৈশবের কল্পনা-মাখা সেই ছবি দেখে এতই আপ্লুত হয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা যে, সেই ছবি টুইটারে প্রকাশ করেন তিনি।
নিশাত নামের ওই শিক্ষিকা টুইটারে বেশ কিছু পড়ুয়ার আঁকা ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াদের আমার ছবি আঁকতে বলেছিলাম। দেখুন তারা কী এঁকেছে।’ ছাত্রদের আঁকা ছবির সঙ্গে সঙ্গে নিজের মাস্ক পরিহিত একটি নিজস্বীও প্রকাশ করেছেন নিশাত।
নিশাতের প্রকাশিত প্রায় সব ক'টি ছবিই রুলটানা কাগজের উপর পেন্সিল দিয়ে আঁকা। প্রায় প্রতিটি ছবিই ধরে ধরে পর্যালোচনা করেছেন নিশাত। সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন করে নম্বরও দিয়েছেন সেই ছবিগুলিকে। নিজেই লিখেছেন, কোনওটিতে তাঁকে দেশপ্রেমিক মনে হচ্ছে, কোনওটিতে তাঁর দেহ দেখে মনে হচ্ছে যেন ভদকার বোতল। কোনওটিতে আবার তাঁর কানে দুল পরিয়েছে পড়ুয়া। কেউ দশে পেয়েছে পাঁচ, কেউ পেয়েছে নয়। তবে ছবি যেমনই হোক, পড়ুয়াদের প্রচেষ্টা মন কেড়েছে বহু নেটাগরিকেরই। দেখে নিন, দিদিমণির ছবি কেমন আঁকল খুদেরা।