শরীর ভিজবে জলে, আর চোখ থাকবে সিনেমার পর্দায়। কখনও আবার বিছানায় শুয়ে হাল্কা জিরিয়ে নেবেন। কিন্তু, চোখ থাকবে ওই পর্দাতেই। এই সবই হয় সিনেমা হলে। এই দুনিয়ার কোনও কোনও কোণে এমন কিছু সিনেমা হল আছে, যার পরিবেশ দেখলে আপনার চোখ চমকেই উঠতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এমনই কিছু চিত্তাকর্ষক সিনেমা হল।
যেখানে বসে সিনেমা দেখছেন, তার নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। আর একটু দূরে মনোরম দৃশ্য। এমনটা ভেবে দেখেছেন কখনও। কোসোভো-তে এমনই সিনেমা হল রয়েছে, যার নাম রিভারব্যান্ড সিনেমা।
আমেরিকায় কানেক্টিকাটে ব্রিজপোর্ট শহরের দ্য বিজৌ থিয়েটার, এখানে পপকর্নের থেকেও অনেক বেশি কিছু আশা করতে পারেন। কেন না সিনেমা হল লাগোয়া আস্ত একটি রেস্তরাঁ রয়েছে এখানে। হরেক রকমের খাবার উপভোগ করতে করতে এখানে স্বানন্দেই সিনেমা দেখতে পারেন।
ডিজনিওয়ার্ল্ড মানুষকে সব সময়ই চমক দিয়ে থাকে। এখানকার সাই-ফাই ডাইন ইন থিয়েটারের আসনগুলি গাড়ির সিটের আকারে। ড্রাইভ করতে পারবেন না ঠিক। কিন্তু তাতে কি, গাড়িতে বসে সিনেমা দেখার মজাটা তো উপভোগ করতে পারবেন।
সিনেমা হলে স্পেস এক বিরাট সমস্যা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসতে না পারার অভিযোগ সিনেমা হলে অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু টোকিওর এই সিনেমা হলে এক্কেবারে দু’পা ছড়িয়ে আরাম করে সিনেমা দেখা যেতে পারে। সিনেমা হলের নাম আপলিঙ্কস এক্স।
শরীরটা জলে ভেজা থাকবে আর আপনার চোখ থাকবে সিনেমার দিকে। টব পুলে বসে সিনেমা দেখার এমনই সুযোগ মেলে লন্ডনে। সিনেমা হলের নাম হট টব সিনেমা।
এশিয়ার বৃহত্তম সিনেমা হলটি রয়েছে আমাদের দেশেই। জাঁকজমকপূর্ণ এই সিনেমা হলে একসঙ্গে ১ হাজার ৬০০ দর্শক সিনেমা দেখতে পারবেন। জয়পুরের রাজ মন্দির সিনেমা হলে একসঙ্গে কত সিটি যে পড়তে পারে তা আপনার ধারণার বাইরে।
এই সিনেমা হলে আবার নানান ছবির শুটিং হয়। এক এক দিন এক একটা থিম পর্যন্ত থাকে এই সিনেমা হলে। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে এমনই এক ঝাঁ চকচকে সিনেমা হল রয়েছে।
খোলা আকাশের নীচে সিনেমা হল, আর রোমান স্থাপত্যে ভরপুর। কিছুটা স্বপ্নের মতো শোনাচ্ছে তাই তো। এমনই সিনেমা হল রয়েছে ক্রোয়েশিয়াতে, যার নাম পুলা এরিনা থিয়েটার।
কখনও ভেবে দেখেছেন সিনেমা হলে গিয়ে শুয়ে শুয়ে সিনেমা দেখতে পারবেন। হ্যাঁ, তা-ও সম্ভব। প্যারিসে অলিম্পিয়া মিউজিক হল, আসনগুলি স্ট্রেচেবল। যা মানুষকে শুয়ে শুয়ে সিনেমা দেখার অনুভূতি অবধি দিতে পারে।
লন্ডনে ইলেকট্রিক সিনেমা হল, যার প্রত্যেকটি আসনে রাখা আছে একটি করে টেবল ল্যাম্প। এই সিনেমা হল আপনাকে এক্কেবারে যেন টাইমমেশিনে বসিয়ে নিয়ে যেতে পারে ১৯২০ সালে। যে সময়ে বস্তুত এই ধরনের পরিবেশের আঁচ মিলত।