জল কম খেলে ঠাকুর দেখা মাটি। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ক'টা দিন নিয়মের ধার ধারেন না কেউই। সকাল-দুপুর-বিকেল নতুন পোশাক পরা, ঠাকুর দেখা, বাইরে খাওয়া— সবই থাকবে। এই হুজুগে সারা দিনে যে পরিমাণ জল খাওয়ার কথা, তা পূরণ না হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শারীরবৃত্তীয় সমস্ত কাজের জন্যেই জল প্রয়োজন। সাধারণত দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদেরা। তবে গরমে, অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা বেশি রাত জাগলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। তখন কিন্তু পরিমাণে একটু হলেও বেশি জল খেতে হয়। শরীরে জলের ঘাটতি হলে শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন, শরীরে জলের অভাব হচ্ছে?
১) শরীরে জলের অভাব হলে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। প্রস্রাব করতেও অস্বস্তি হতে পারে।
২) জলের অভাবে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। লিপ বাম মাখা সত্ত্বেও ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলে এমন লক্ষণ জলের অভাবে হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
৩) কায়িক পরিশ্রম না করেও অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগছে? চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করানোর আগে পর্যাপ্ত জল খাচ্ছেন কি না, তা দেখে নিন। পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে। ফলে ক্লান্তি ঘিরে ধরতেই পারে।
শরীরে জলের অভাব হলে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই ক্ষণে ক্ষণে মাথা ধরে? শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ কমে গেলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
৫) জল কম খেলে কিন্তু ঘুমের মধ্যেও পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে। শরীরে ইলেকট্রলাইট ভারমাস্য বিঘ্নিত হলে শারীরিক নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।