রেশম শিল্পীর কালেকশন
বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অনেকখানি জুড়ে রয়েছে রেশম শিল্প। যে শিল্প বাংলাকে আলাদা করে স্থান দিয়েছে বিশ্বের মানচিত্রে। সেই শিল্প বাঙালির সাজসজ্জায় যোগ করেছে নতুন এক মাত্রা। বিগত সাত দশক ধরে সেই শিল্পকেই সযত্নে তুলে ধরেছে “পশ্চিমবঙ্গ রেশম শিল্পী সমবায় মহাসঙ্ঘ লিমিটেড”। রেশম শিল্পী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্রশিল্প দফতরের অন্তর্ভূক্ত একটি সংস্থা। ১৯৫৮ এর ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গল কো-অপারেটিভ সোস্যাইটি আইনের অন্তর্ভূক্ত এই সংস্থার যাত্রা শুরু হয়।
বলা বাহুল্য, রেশম ও ভারতীয় নারীর বন্ধুত্ব চিরকালীন, চিরন্তন। বাঙালির সাজে বার বার ফিরে এসেছে রেশমের কাজ। সিল্ক থেকে তসর, যে কোনও ধরনের রেশমের টানেই বাঁধা পড়েছেন আঠারো থেকে আশি সব বয়সের রমণীরা। বাঙালির সেই ভালবাসাতেই রেশম শাড়ির জগতে অন্যতম সেরা নাম হয়ে উঠেছে ‘রেশম শিল্পী’।
রেশম শিল্পীর কালেকশন
কিন্তু কেন ‘রেশম শিল্পী’র নাম সর্বজনবিদিত? কারণ, এখানকার শাড়ির গুণমান। রেশমজাত বস্ত্রের উচ্চ গুণমান বজায় রাখার জন্য রেশমশিল্পী অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেরিকালচার ডিরেক্টরেটের আধিকারী, সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের বিজ্ঞানী এবং উইভারস্ সার্ভিস সেন্টারের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত প্রোকিওরমেন্ট কমিটি দ্বারা রেশমজাত বস্ত্রগুলি পরীক্ষিত হয় এবং অনুমোদিত হয়। গুণমান ও বাজারদর অনুযায়ী বস্ত্রগুলির মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
অনুমোদিত রেশমবস্ত্রগুলি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রেশম শিল্পীর নথিভূক্ত রেশম তন্তুবায়দের থেকে সংগ্রহ করে তার উপরে ব্লক / স্ক্রিন প্রিন্ট, হাতে আঁকা, এমব্রয়ডারি, বাটিক, বাঁধনী ইত্যাদি বিভিন্ন কারুকার্যের পর রেশম শিল্পীর নিজস্ব নয়টি শোরুমে ও অনলাইনে — www.reshamshilpi.in—এর মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়।
শাড়ি থেকে উচ্চমানের পোশাক তৈরির কাপড়, রেডিমেড পোশাক, সাজসজ্জার একাধিক বিকল্প রয়েছে সেখানে। খাস কলকাতায় মোট ৬টি শো’রুম রয়েছে রেশম শিল্পীর —
এছাড়াও কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় আরও তিনটি শো’রুম রয়েছে রেশম শিল্পীর। যেগুলি হল —
রেশমের তৈরি শাড়ি ও জামার নিত্যনতুন সম্ভার, নিয়মিত নিপুণতার সঙ্গে গুণমান যাচাই ও শাড়িতে নতুন ধরনের নজরকাড়া নকশা, পেইন্টিং ইত্যাদির জন্য সারা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে রেশম শিল্পী। শুধু তাই নয়, বাংলার রেশম দ্রব্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই সংস্থা। সিল্কের তৈরি শাড়ি ও পোশাকের ধ্যান-ধারণা সম্পূর্ণ পালটে দিয়ে অন্য এক স্তরে নিয়ে গিয়েছে রেশম ব্যবসাকে।
রেশম শিল্পীর কালেকশন
প্রতি বছরের মতো এই বছরেও দুর্গাপুজোর ঠিক আগে সম্পূ্র্ণ নতুন ও অনন্য শাড়ির সম্ভার নিয়ে হাজির রেশম শিল্পী। এই বছরের সেই সম্ভারের মূল আকর্ষণ —
রেশম শিল্পীর কালেকশন
এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন ধরনের কিছু ছাপা, এমব্রয়ডারি বা বাটিকের কাজ করা, সিল্ক ও তসরের ওড়না, পোশাক তৈরির কাপড় এবং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য হালফিলের ফ্যাশনের রেডিমেড পোশাকও।
তা হলে আর দেরি কেন? এই বছর দুর্গা পুজোয় ওয়ারড্রোব সাজিয়ে তুলুন রেশম শিল্পীর সঙ্গে।
এই প্রতিবেদনটি ‘রেশম শিল্পী’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা প্রকাশিত।