প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
বাড়ি থেকে কাজ করছেন অনেকেই। ব্যক্তিগত কাজ এবং অফিসের কাজ সব মিলেমিশে যাচ্ছে। অনেকেরই অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে কাজের চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে তাঁদের। অনেক বেশি সময় দিতে হচ্ছে অফিসের কাজের পিছনে। সব মিলিয়ে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। কিন্তু কয়েকটি জিনিস আপনি যদি গুছিয়ে উঠতে পারেন, তা হলে কাজের চাপ অনেকটা হালকা হয়ে যায়। উপায়গুলি জেনে নিন।
পরিকল্পনা করুন
কখন কী করবেন, কখন জুম মিটিং রয়েছে, কখন কাকে ফোন করতে হবে, কোন দিনে বিশেষ কাজ রয়েছে, সেগুলো একটা জায়গায় লিখে রাখলে আপনি অনেকটা চিন্তামুক্ত হবেন। গুগ্ল ক্যালেন্ডারের মতো কোনও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনে করিয়ে দেবে কোন কাজটা বাকি। কবে কোন গুগ্ল মিটিং রয়েছে, তা আপনার ই-মেল থেকে সরাসরি চলে যাবে ক্যালেন্ডারে। আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না।
কাজের শেষে মিলিয়ে দেখুন
শুধু ক্যালেন্ডার কী কী কাজ রয়েছে, সেটা লিখলেই হবে না। আপনাকে সে ভাবে কাজগুলো শেষও করতে হবে। মাঝে মাঝে ক্যালেন্ডার খুলে দেখুন কোন কাজগুলো বাকি। প্রত্যেক দিন কাজ শেষ করার আগে কিছুটা সময় বরাদ্ধ করে রাখুন দিনের কোন কাজগুলো বাকি থেকে গেল, সেটা দেখার জন্য। যেগুলো করা হয়নি, পরেরদিনের ক্যালেন্ডারে তা লিখে রাখুন।
কাজ সাজিয়ে নিন
একসঙ্গে অনেক কাজ করলে, আপনার ইমেলের ইনবক্স দ্রুত ভরে যায়। দরকারের সময় কাজের ইমেল খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আপনার ইমেল এ একটা ‘কালার কোডিং’ এর ব্যবস্থা রয়েছে। মানে একেকটা কাজ আপনি আলাদা করার জন্য একটা রং দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। ধরুন বসের সব মেল সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করলেন। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার ইমেলগুলো লাল, সহকর্মীদের ইমেল হলুদ— এই রকম। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রত্যেকটা জরুরি ডকুমেন্ট আলাদা ফোল্ডার করে সাজিয়ে রাখুন। সব একসঙ্গে হোম স্ক্রিনে রাখবেন না।
কাজ ভাগ করে নিন
সব কিছু একা একসঙ্গে করতে যাবেন না। প্রত্যেকটা কাজ ভেঙে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন। সেই মতো কাজ এগনোর চেষ্টা করুন। যদি একা সব না পারেন তা হলে বাকি সহকর্মীদের আপনার সমস্যার কথা বলুন। দেখুন আপনার টিমের কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারছেন কি না।