গরমে স্বস্তি পেতে যে খাওয়ারগুলি ফ্রিজে রাখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
গরম যে হারে বাড়ছে, তাতে সহজে তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে। অগত্যা সাময়িক স্বস্তির পথ খুঁজে চলেছেন সকলেই। বা়ড়িতে থাকলে সারা ক্ষণ বাতানুকূল যন্ত্র তো চলছেই। সেই সঙ্গে ঘন ঘন ফ্রিজের জল খাওয়াও চলছে। ক্ষণে ক্ষণে হাত চলে যাচ্ছে ফ্রিজে রাখা জলের বোতলগুলির দিকে। কনকনে ঠান্ডা জল গলায় ঢালতেই শীতল অনুভূতিতে ভরে উঠছে শরীর এবং মন। কিন্তু এই গরমে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার একমাত্র পথ তো ঠান্ডা জল হতে পারে না। জলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি খাবারও ফ্রিজে রাখতে পারেন। সে সব খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
ইয়োগার্ট
স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু এই খাবার গরমে ফ্রিজে থাকা জরুরি। বাইরে থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরেও খেতে পারেন ইয়োগার্ট। বিভিন্ন স্বাদের ইয়োগার্ট বাজারে পাওয়া যায়। গরমে খেলে স্বস্তিও পাবেন। শরীর সুস্থ থাকবে। দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে কিংবা রাতের খাবার খাওয়ার পর এটি খেতে পারেন।
ফলের স্যালাড
বিভিন্ন ফল দিয়ে স্যালাড বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। গরমে মাঝেমাঝে খেলে সত্যিই স্বস্তি মিলবে। ফ্রেশ ক্রিম আর অল্প চিনি দিয়ে স্যালাডটি বানিয়ে নিন। এখন তো মরসুমি ফলের অভাব নেই। পছন্দমতো ফল দিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিতেই পারেন।
পছন্দমতো ফল দিয়ে স্যালাড বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
আমের শরবত
ডেজ়ার্ট থেকে শরবত— এই মরসুমে অনেকেই আমের নান পদ তৈরি করে ফ্রিজে রাখছেন। বছরের এই সময়টা যতটা সম্ভব আমের স্বাদ নিয়ে নেওয়া আর কী! বাড়িতে অতিথি এলেও ফ্রিজ থেকে বার করে ঠান্ডা আমের শরবর পরিবেশন করতে পারেন। তাপপ্রবাহে এর চেয়ে ভাল অতিথি আপ্যায়ণ আর হবে না।
লেবুর শরবত
গরমে শুধু আম নয়, গলা ভেজান লেবুর শরবতেও। এই পানীয় বানানো খুবই সহজ। বাজারচলতি ফলের রসের চেয়ে টাটকা বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেওয়াই ভাল। লেবুর শরবত বানিয়ে উপর থেকে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। অন্য রকম স্বাদ পাবেন।
আইসক্রিম
বাড়িতে শিশু রয়েছে আর গরমে ফ্রিজে আইসক্রিম নেই, তা হতেই পারে না। আইসক্রিম যে শুধু ছোটদের পছন্দ, তা তো নয়। বাড়ির বড়রাও আইসক্রিম খেতে ভালবাসেন। বিশেষ করে এই গরমে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর চকোবার কিংবা অরেঞ্জ আইসক্রিমের স্বাদ নিতে কার না ভাল লাগে।