Life hacks

কানে দুল পরার আগে ভুল নয়

সন্তানের হোক বা নিজের... ইয়ার পিয়ার্সিংয়ের আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুনমনে রাখবেন, পিয়ার্সিংয়ের স্থান কিন্তু ক্ষতর মতোই। ফলে যতক্ষণ না তা শুকোচ্ছে, ততক্ষণই তার যত্ন প্রয়োজন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০০:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

রিয়া আর টিনা একই স্কুলে পড়ে। দু’জনেই কান ফুটিয়েছে একই দিনে। কিন্তু রিয়ার বাঁ কানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। তার থেকে জ্বর এবং ক্রমশ শরীর খারাপ। এই ঘটনা নতুন নয়। কান পেকে যাওয়া, কানের ফুটোয় পুঁজ জমা, ইনফেকশন হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। কিন্তু ইয়ার পিয়ার্সিংয়ের আগে ও পরে সতর্ক থাকলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেতে পারে।

Advertisement

ইয়ার পিয়ার্সিংয়ের আগে

কোথায় কান ফুটো করছেন, সেখানকার পরিবেশ হাইজেনিক কি না, দেখে নিন। অর্থাৎ ইয়ার পিয়ার্স করানোর আগে তা স্টেরিলাইজ় করা হয় কি না, খোঁজ নিন। অনেক ডাক্তারের ক্লিনিকে কান ফুটো করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে স্যানিটাইজ়ার বা স্টেরিলাইজ় করার বিষয়ে তেমন চিন্তা থাকে না। কোনও সালঁয় গান শটের মাধ্যমে পিয়ার্স করাতে চাইলে আগে ভাল করে দেখে নিন, তারা কোন ধরনের মেটালের দুল দিচ্ছে। তা আদৌ স্টেরিলাইজ় করানো কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নিন। সাধারণত ২২ থেকে ২৪ ক্যারাট সোনার কানের দুল নিরাপদ মনে করা হয়। বিশেষ করে নিকেল ও কোবাল্ট জাতীয় ধাতুতে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। তাই ইয়ার পিয়ার্সিংয়ের সময়ে এই ধাতুর দুল এড়িয়ে যেতে হবে। এখন আবার কিছু দোকান বা সালঁয় স্টেরিলাইজ়ড মেডিকেটেড দুলও পাওয়া যায়। বেশ কিছু সালঁ ইয়ার পিয়ার্সিংয়ে সেটিই ব্যবহার করে থাকে। এই ধরনের দুলের দাম ৮০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। দুলের আকার ও ডিজ়াইনের উপরে দাম ওঠানামা করে। যিনি আপনার সন্তানের কান ফুটো করবেন, তিনি নিজের হাত স্যানিটাইজ়ার দিয়ে পরিষ্কার করছেন কি না, নজর রাখুন সে দিকেও। কান ফুটো করার আগে পেন দিয়ে যখন মার্ক করে নেওয়া হয়, সে সময়ে দেখুন তা যেন কানের লতির উপরেই পড়ে। শিরার উপরে যেন তা পড়ে না। এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজের কানে পিয়ার্স করলে হাত দিয়ে দেখে নিন।

Advertisement

কান ফুটো করার পরে

সন্তানের কান ফুটো করার পরেও যত্ন প্রয়োজন। কান ফুটো করার পরের কয়েক দিন অ্যান্টিসেপটিক অয়েন্টমেন্ট লাগাতে হবে। এতে সেপটিক হওয়ার ভয় থাকবে না। ইয়ার পিয়ার্সিংয়ের পরে কয়েক দিন অ্যালকোহল সোয়্যাব দিয়ে কানের চারপাশ মুছে পরিষ্কার করে দিতে পারেন। এতে তাড়াতাড়ি কান শুকিয়ে যাবে। কানের দুল প্রত্যেক দিন ঘোরাতে হবে। আর যদি পুশ করা দুল হয়, তা হলে তা সামনে পিছনে টেনে দিতে হবে। দুলটা নাড়াচাড়া করতে হবে। এতে কানের ফুটোয় হাওয়া খেলবে। ফলে ইনফেকশনের ভয়ও থাকে না। কান ফুটো করার সময়ে যে দুল পরবেন, অন্তত এক মাস সেই দুলই কানে পরে থাকতে হবে। তার পরে কয়েক মাস সোনার দুল পরালেই ভাল। বিশেষত বাচ্চাদের বেশি ঝোলা বা বড় দুল পরাবেন না। কখনও খেলতে খেলতে হাতে টান লাগলে কান কেটেও যেতে পারে।

মনে রাখবেন, পিয়ার্সিংয়ের স্থান কিন্তু ক্ষতর মতোই। ফলে যতক্ষণ না তা শুকোচ্ছে, ততক্ষণই তার যত্ন প্রয়োজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement