বৃশ্চিকাসন অভ্যাস করলে উদ্বেগ, অবসাদের মতো মানসিক সমস্যা দূরে থাকে। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
সব সময় মনমেজাজ বিগড়ে থাকে। তুচ্ছ কারণে রাগ হয়। কেউ অল্পতেই কষ্ট পান। আবার একটু যত্নেই কারও মন খুশিতে ডগমগ করে ওঠে। চিকিৎসকেরা বলছেন, হরমোনের কলকাঠিতেই শরীর এবং মনের এমন সব অস্থিরতা দেখা দেয়। থাইরয়েড, ডায়াবিটিস, পিসিওএস বা পিসিওডি-র মতো হরমোনজনিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই কোনও ভাবেই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে দেওয়া চলবে না। তা ছাড়া শারীরবৃত্তীয় নানা কাজেও হরমোন নামক এই জৈব রাসায়নিক পদার্থটির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, হরমোন উৎপাদন এবং ক্ষরণের স্বাভাবিক যে চক্র, তা বিগড়ে যেতে পারে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শারীরিক কসরতের অভাবে। তবে এই ধরনের সমস্যা প্রতিহত করতে বৃশ্চিকাসন একাই একশো।
সংস্কৃতে ‘বৃশ্চিক’ শব্দের অর্থ ‘বিছে’। সেখান থেকেই এই আসনের নাম হয়েছে বৃশ্চিকাসন। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘স্করপিয়ন পোজ়’। এই আসন অভ্যাস করার সময় দেহের ভঙ্গি অনেকটা তেমনই হয়। এই ভঙ্গি রপ্ত করা খুব একটা সহজ নয়। তাই প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থেকেই বৃশ্চিকাসন অভ্যাস করা ভাল।
কী ভাবে করবেন?
কেন করবেন?
পেটের পেশি মজবুত হয়। ঘাড়, কাঁধের পেশির পোক্ত হয় নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতেও এই আসন অভ্যাস করা যায়। বৃশ্চিকাসন অভ্যাস করলে উদ্বেগ, অবসাদের মতো মানসিক সমস্যাও দূরে থাকে।
সতর্কতা:
কোমরে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে কিংবা চোট-আঘাত লেগে থাকলে এই আসন অভ্যাস করা বারণ। ভার্টিগো বা মাথাঘোরার ব্যামো থাকলেও বৃশ্চিকাসন করা যাবে না। হাত, কাঁধের পেশি মজবুত না হলে এই আসন অভ্যাস করা যাবে না। কার্পল টানেল সিনড্রোম থাকলে এই আসন অভ্যাস করা যায় না।