পানীয়ের দাম কমাতে চলেছে ‘স্টারবাক্স’। ছবিঃ সংগৃহীত।
‘স্টারবাক্স’-এ কফি খেতে গিয়ে সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে কিংবা অন্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলে লাইকের সংখ্যা যে বেশি হবে, তা এত দিনে অনেকেরই জানা। তবে ‘স্টারবাক্স’-এর কফিতে চুমুক বসাতে গেলে পকেটও যে গড়ের মাঠ হয়ে যেতে পারে, সে কথাও অজানা নয়। তাই কালেভদ্রে দু-এক বার ঢুঁ মারেন কেউ কেউ। কিন্তু তাতে সংস্থার কোনও লাভ হচ্ছে না। ক্রমশ মন্দার বাজারে ডুবে যাচ্ছে ব্যবসা। তাই পরিকল্পনায় খানিক বদল আনছে বিদেশি এই সংস্থা। লাভের মুখ দেখতে হলে চাই নিয়মিত গ্রাহক। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্টার্টআপ সংস্থা ভারতে কফিচেন শুরু করেছে। দামের দিক থেকেও সেগুলি ‘স্টারবাক্স’-এর তুলনায় বেশ সস্তা। বাজারে টিকে থাকতে তাই সেই পথেই হাঁটতে চলেছে সংস্থা। এ বার থেকে ‘স্টারবাক্স’-এ গেলে কফির দাম শুনে চোখ কপালে উঠবে না। পকেটের একবারে ফাঁকা না করেও খাওয়া যাবে কিছু পানীয়।
গত কয়েক বছরে গোটা বিশ্বে প্রায় ১৫০টি বিপণি খুলেছে ‘স্টারবাক্স’। ভারতে সংস্থার চিফ এক্সকিউটিভ সুশান্ত দাশ বলেন, ‘‘ব্যবসা আরও ব়়ড় করার পাশাপাশি নতুন গ্রাহকদের টানতে হবে। অনেকেই ভাবেন, স্টারবাক্স-এর খাবার মানেই আকাশছোঁয়া দাম। সেই ধারণা মুছে ফেলার কাজে নেমেছি।’’
স্টারবাক্স ‘পিকো’ নামে তুলনায় সস্তার একটি নতুন পানীয় বাজারে এনেছে। সেই সঙ্গে কম দামের কিছু মিল্কশেকও থাকছে। এর আগে ‘ম্যাকডোনাল্ডস’, ‘কেএফসি’, ‘পিৎজ়া হাট’, ‘ডমিনোজ়’-এর মতো বিদেশি সংস্থাগুলি প্রথমে ভারতের বড় শহরগুলিতে ব্যবসা শুরু করেছিল। খাবারে এবং দামে বদল এনে ভারতীয় বাজারে বেশ গুছিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে এই সংস্থাগুলি। দেরিতে হলেও ‘স্টারবাক্স’ একই পথের পথিক হতে চলেছে।