ফেসবুকের মতো ওয়েবসাইটে স্পার্ম ডোনারের অভাব নেই। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটেনে আর হয়েতো নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে পারবেন না শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুদাতারা। ব্রিটেনের বর্তমান নিয়মবিধির অধীনে, শুক্রাণু ও ডিম্বাণুদাতারা সম্পূর্ণ রূপে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে পারেন। তাঁদের সন্তানদের বয়স ১৮ পেরোনোর পর সেই ব্যক্তি কিংবা মহিলা চাইলে সন্তানের সামনে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করবে তাঁদের ইচ্ছার উপর।
তবে হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটি (এইচএফইএ), যারা ব্রিটেনে আইভিএফ পদ্ধতি সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা, তাদের দাবি জনপ্রিয় ডিএনএ-পরীক্ষার ওয়েবসাইটগুলির জন্যই শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এইচএফইএ শীঘ্রই ব্রিটেন সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখতে চলেছে, যাতে তাঁরা এই বিষয় নিয়ে বিবেচনা শুরু করে।
পিটার থম্পসন, এইচএফইএ-এর প্রধান এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি সস্তায় ডিএনএ পরীক্ষা করানোর যে রমরমা বাজারে চলছে তার জেরেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় গোপন রাখা কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। আর এ রকমটা চলতে থাকলে আপনাদের পক্ষেও কাজটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে।’’ এইচএফইএ সরকারের কাছে সন্তানধারণ সম্পর্কিত আইনে কিছু বদল আনার আর্জি জানাতে চলেছে।
প্রতীকী ছবি
ইদানীং অনেক মহিলাই তাঁদের সন্তানদের কাছে পিতার পরিচয় জানাতে চাইছেন। সরকারি ভাবে তা সম্ভব নয়, তাই তাঁরা অনলাইনেই এমন ডোনারের খোঁজ করছেন। ফেসবুকের মতো ওয়েবসাইটে স্পার্ম ডোনারের অভাব নেই। তবে এ ক্ষেত্রে, কেউ কেউ নারীদেরকে যৌন প্রস্তাব দিয়ে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা কাম্য নয়। আবার একই এলাকায় এক জন পুরুষ একাধিক সন্তানের বাবা হচ্ছেন, যা অজান্তেই হয়তো ‘ভাই-বোনের’ মধ্যে অজাচার সম্পর্কের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে।
সরকারি ভাবে অন্তত শিশুর জন্মের সময়ে যদি বাবা-মায়ের পরিচয় প্রকাশ করা যায়, তা হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমবে, এমনটাই মনে করছে এইচএফইএ।