সোনমের রোগা হওয়ার লড়াই। ছবি: সংগৃহীত।
ছিপছিপে শরীর। পাতলা কোমর। তন্বী চেহারা। শরীরে কোথাও মেদের ছিঁটেফোঁটা নেই। মা হওয়ার ১৬ মাস পরে ২০ কেজি ওজন কমিয়ে নতুন অবতারে ফিরলেন সোনম কপূর। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সোনম। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই চেহারায় বদল আসতে শুরু করে হবু মায়েদের। সোনমও তাঁর ব্যতিক্রম ছিলেন না। পর্দার চেনা সোনমও একেবারে বদলে গিয়েছিলেন। ওজন বেড়ে গিয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়ের ছবি নিজেই ভাগ করে নিয়েছিলেন সোনম।
ছেলে বায়ুর জন্মের পরও কিন্তু সেই ‘স্ট্রাগল’ শেষ হয়নি। মা হওয়ার মাস তিনেকের মাথায় খানিকটা ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে পুরনো সোনমকে কোথাও যেন পাওয়া যাচ্ছিল না। ওজন কমানো এমনিতেই সহজ নয়। মা হওয়ার পর তা আরও কঠিন হয়ে যায়। শরীরের অন্দরে নানা বদল আসে। তখন চেষ্টা করেও রোগা হওয়া যায় না।
তবে সোনম পেরেছেন। কোনও ডায়েট, শরীরচর্চা না করেই রোগা হয়েছেন। একেবারে ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন সোনম। নিজেরে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভি়ডিয়ো ভাগ করে নিয়ে নিজেই সেই ‘সুখবর’ দিয়েছেন তিনি। তবে নায়িকা চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এখনও নাকি আরও খানিকটা ওজন ঝরানো বাকি।
কিছু দিন আগেই জমকালো লেহঙ্গায় সেজে বছরের শুরুতে চমকে দিয়েছিলেন সোনম। মা হওয়ার পর পুরনো চেহারায় ফিরতে কতটা ‘লড়াই’ করতে হয়, তা নিয়ে অকপট হয়েছিলেন সোনম। বিশেষ কোনও ডায়েট, জিমে গিয়ে ঘাম না ঝরিয়েও কী ভাবে ওজন কমালেন সে বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এক জন মা তাঁর সন্তানের জন্য যতটা পরিশ্রম করেন, তিনিও সেটাই করেছিলেন। সন্তানের যত্ন নেওয়ার ফাঁকেই একেবারে আমূল বদলে যান তিনি। ওজন কমানোর তাগিদ ছিল, কিন্তু তা নিয়ে কোনও খারাপ লাগা ছিল না। কারণ, সোনম বিশ্বাস করেছিলেন, এটি জীবনের একটি অধ্যায়। সেটার জন্য মনের মধ্যের কোনও খারাপ লাগা জন্ম দেননি। শুধু কী ভাবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করে গিয়েছেন।