প্রতীকী ছবি।
ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক খুললেই দেখা যায় কত জন রংবেরঙের কেক তৈরি করে কী সুন্দর ছবি পোস্ট করছেন। অনেকে আবার লকডাউনে তাঁদের এই শখকেই পেশা বানিয়ে ফেলেছেন। ইউটিউব ঘাঁটলেও সহজেই নানা রকম কেক তৈরির রেসিপি পাওয়া যায়। আপনারও কি সেই দেখে ইচ্ছে হয়েছে কেক বানানো শিখবেন? দেরি না করে তা হলে শুরু করে দিন। বেক করা আর রান্না করার মধ্যে অনেকটা তফাত রয়েছে। রান্নার প্রস্তুতি সেরে আপনাকে গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়ে রান্নাটাও করতে হয়। কিন্তু বেকিং তেমন নয়। প্রস্তুতি শেষ করে আভেনে ঢুকিয়ে দিলেই হয়। তবে কিছু কথা মাথায় রাখতেই হবে। না হলে আপনার কেক কখনও ঠিকঠাক হবে না। সেগুলি কী জেনে নিন।
১। রান্নায় অনেক সময়ে আমরা উপকরণগুলি চোখের আন্দাজে দিয়ে দিই। কেক, কুকি, মাফিন, পাইয়ের মতো খাবারের ক্ষেত্রে তা করলে চলবে না। বেক করার সময়ে রেসিপি মেনে একদম মেপে সব উপকরণ দিতে হবে।
২। নরম মাখন ব্যবহার করতে বলা হয় অনেক রেসিপিতে। মনে রাখবেন, গলানো মাখন আর নরম মাখন কিন্তু এক নয়। ফ্রিজ থেকে বার করে মাইক্রোওয়েভে মাখন গলিয়ে নিলে চলবে না। বরং বাইরে রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে নরম করতে হবে।
প্রতীকী ছবি
৩। সব উপকরণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকতে হবে। যেমন ফ্রিজ থেকে বার করে ডিম ফেটাবেন না, দুধ গরম করেই কেকে দেবেন না, চিজ বা মাখন বা চকোলেট ফ্রিজ থেকে বার করে অনেকক্ষণ বাইরে রেখে দেখে নিতে হবে যেন খুব ঠান্ডা না থাকে।
৪। বেকিং ট্রে তে কেকের গোলাটা দেওয়ার সময়ে পুরোটা ভরে দেবেন না। পাত্রে একটু জায়গা রাখতে হবে যাতে বেক করার সময়ে সহজেই কেক ফুল উঠতে পারে।
৫। সব উপকরণ মেশানোর সময় খুব বেশি মেশাবেন না। একটু হাওয়ার বুদবুদ থাকলে কেক নরম হবে বেশি। গোলা তৈরি হয়ে গেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। সঙ্গে সঙ্গে আভেনে দেবেন না।
৬। পাত্রের গায়ে যাতে কেক লেগে না যায়, তার জন্য সব সময়ে পার্চমেন্ট পেপারের নীচে সামান্য তেল বা মাখন লাগিয়ে নেবেন।
৭। অনেকে গ্যাসে কেক তৈরি করেন। কিন্তু যাঁরা আভেনে করছেন, তাঁদের অবশ্যই আভেন প্রি-হিট করতে হবে। মানে আসল কেকের গোলা আভেনে ঢোকানোর আগেই ১৫ থেকে ২০ মিনিট আভেনটা চালিয়ে গরম করে নিতে হবে। তবেই ভাল বেক হবে।