১৯৫০ সালের এই দিনেই গৃহীত হয় ভারতীয় সংবিধান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
১৯২৯ সালের ২৬শে জানুয়ারি জাতীয় কংগ্রেস দাবি তুলেছিল পূর্ণ স্বরাজের। আর ১৯৫০ সালের এই দিনেই গৃহীত হয় ভারতীয় সংবিধান। এই পর্যন্ত জানেন প্রায় সকলেই। কিন্তু এই দিনটির গুরুত্ব এতই বহুবিধ যে প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে অনেক তথ্যই অজানা সাধারণ মানুষের। জেনে নেওয়া যাক সংবিধান ও প্রজাতন্ত্র দিবসের এমন কিছু তথ্য যেগুলি সম্পর্কে অবগত নন অনেকেই।
সংবিধানে সই করার ঐতিহাসিক ক্ষণ। ছবি: পিটিআই
১। ভারতের সংবিধান পৃথিবীর দীর্ঘতম হাতে লেখা সংবিধান।
২। প্রখ্যাত ক্যালিগ্রাফিস্ট প্রেম বিহারী নারায়ণ রায়জাদা পন্ডিত নেহরুর অনুরোধে দীর্ঘ ছয় মাসের প্রচেষ্টায় এই বিপুল কাজটি একা হাতে সম্পন্ন করেন। গোটা কাজের জন্য এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি তিনি।
৩। শুধু লেখা নয়, সংবিধানের পরতে পরতে রয়েছে বিপুল নকশা। সেই নকশা করেছেন নন্দলাল বসু ও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। এই নকশায় যেমন রয়েছে বেদ, মহাভারত ও রামায়ণের ছবি, তেমনই রয়েছে মহাত্মা গাঁধীর ডান্ডি অভিযান ও সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবিও। টিপু সুলতান ও অশোকের ছবিতে রয়েছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তাও।
৪। ২৫১ পৃষ্ঠার আকর গ্রন্থটির ওজন তিন কিলো ৭৫০ গ্রাম।
৫। সংবিধানের প্রথম প্রতিলিপি ছিল দুটি, একটি হিন্দি ও অপরটি ইংরেজিতে লেখা।
৬। হাতে লেখা সংবিধানের প্রথম প্রতিলিপি দুটি হিলিয়াম পূর্ণ বদ্ধ পাত্রে সংরক্ষিত রয়েছে সংসদ ভবনে।
৭। ৩০৮ জন সদস্য ২৪শে জানুয়ারি সংবিধানে সই করেন।
৮। প্রতি বছর কোনও একজন রাষ্ট্র নায়ক, সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন। ১৯৫০ সালে প্রথমবার এসেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ।
৯। সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের ট্যাবলোগুলির গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।
১০। রাজপথে সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। এর আগে এই রাস্তার নাম ছিল কিংসওয়ে। যার নাম পরিবর্তন করে করা হয় রাজপথ।